Education Policy: বোর্ড পরীক্ষার টেনশন শেষ! বছরে দুবার সুযোগ, বাছতে পারবে সেরা নম্বরটি

Education Policy: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সম্প্রতি একটি বড় ঘোষণা করেছেন যা দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখন থেকে বছরে একবারের পরিবর্তে দুবার বোর্ড পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবে পড়ুয়ারা। এই নতুন নিয়মের ফলে ছাত্রছাত্রীরা দুটি পরীক্ষার মধ্যে যেটি তে বেশি নম্বর পাবে, সেটিই চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে। আসুন, এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তটির বিভিন্ন দিক বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কেন এই নতুন নিয়ম?
এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো ছাত্রছাত্রীদের উপর থেকে পরীক্ষার বিপুল চাপ কমানো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “পরীক্ষা পে চর্চা” অনুষ্ঠান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে, শিক্ষা মন্ত্রক তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নিয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন যে, অনেক সময় অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে একটি পরীক্ষা খারাপ হয়ে গেলে ছাত্রছাত্রীদের পুরো বছর নষ্ট হয়ে যেত। এই নতুন নিয়মের ফলে তারা দ্বিতীয়বার সুযোগ পাবে এবং তাদের সেরা পারফরম্যান্সটিই গণ্য হবে।
কীভাবে কাজ করবে এই ব্যবস্থা?
এই ব্যবস্থাটি অনেকটাই জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন (JEE) এর মতো। ছাত্রছাত্রীরা বছরে দুবার দশম শ্রেণীর বোর্ড পরীক্ষায় বসতে পারবে। দুটি পরীক্ষার মধ্যে যেটিতে তাদের ফল ভালো হবে, সেই নম্বরটিই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। এর ফলে, যদি কোনো ছাত্রছাত্রী প্রথম পরীক্ষায় ভালো ফল করতে না পারে, তাহলে সে দ্বিতীয়বার চেষ্টা করে তার ফল উন্নতি করার সুযোগ পাবে। শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতে, এই ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণ ছাত্রছাত্রীকেন্দ্রিক এবং তাদের সুবিধার্থে তৈরি করা হয়েছে।
শিক্ষক এবং পরিকাঠামোর প্রস্তুতি
দুবার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক এবং পরিকাঠামো আছে কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন যে ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা, বিশেষ করে স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা, এই দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ সক্ষম। দেশে ৬০টিরও বেশি স্কুল বোর্ড রয়েছে এবং তাদের যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তাই, বছরে দুবার পরীক্ষা পরিচালনা করতে কোনো অসুবিধা হবে না বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
জাতীয় শিক্ষানীতি ও ত্রিভাষা সূত্র
শিক্ষামন্ত্রী আরও স্পষ্ট করেছেন যে জাতীয় শিক্ষানীতিতে কোনো রাজ্যের উপর কোনো ভাষা চাপিয়ে দেওয়া হবে না। ত্রিভাষা সূত্রটি আগেও ছিল এবং তামিলনাড়ু ছাড়া প্রায় সব রাজ্যেই এটি চালু আছে। তিনি বিরোধীদের অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিয়েছেন এবং বলেছেন যে নতুন শিক্ষানীতিতে ত্রিভাষা সূত্রের একমাত্র পরিবর্তন হলো, তিনটি ভাষার মধ্যে দুটি অবশ্যই ভারতীয় হতে হবে। ছাত্রছাত্রী এবং স্কুলগুলি তাদের পছন্দ অনুযায়ী ভাষা বেছে নিতে পারবে।
দশম শ্রেণীতে বছরে দুবার বোর্ড পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এর ফলে ছাত্রছাত্রীরা মানসিক চাপমুক্ত হয়ে পড়াশোনায় আরও বেশি মনোযোগ দিতে পারবে এবং তাদের সেরাটা দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় সুযোগ পাবে। এই নতুন ব্যবস্থা ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও ছাত্রছাত্রীকেন্দ্রিক এবং আধুনিক করে তুলবে বলে আশা করা যায়।