এবার থেকে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের জন্য চালু হল অ্যাপ-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স

সরকারি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিনের অভিযোগের অবসান ঘটাতে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন (NMC) এক নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশ জুড়ে চালু হয়েছে অ্যাপ-ভিত্তিক ফেস বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে চিকিৎসকদের হাসপাতালে উপস্থিতি আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। পুরনো পদ্ধতিতে হাজিরা ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নতুন নিয়ম ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে।
নতুন ব্যবস্থার কার্যকারিতা
এই নতুন ব্যবস্থায়, প্রত্যেক চিকিৎসককে তাদের মোবাইলে একটি নির্দিষ্ট অ্যাপ ইনস্টল করতে হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা তাদের উপস্থিতি নথিভুক্ত করতে পারবেন। তবে, এই অ্যাপটি কেবল হাসপাতালের ১০০ মিটার পরিধির মধ্যেই কাজ করবে। এর ফলে, চিকিৎসকরা হাসপাতালে না এসে বাইরে থেকে হাজিরা দিতে পারবেন না।
- অ্যাপের কার্যকারিতা: অ্যাপটি জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিকিৎসকের অবস্থান নিশ্চিত করবে।
- আধার কার্ডের তথ্য: অ্যাপটিতে চিকিৎসকের আধার কার্ডের তথ্য নথিভুক্ত থাকবে।
- মুখের শনাক্তকরণ: হাজিরা দেওয়ার সময় অ্যাপটি চিকিৎসকের মুখের সঙ্গে আধার কার্ডে থাকা ছবির মিল যাচাই করবে। সফলভাবে মিললেই হাজিরা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
কেন এই নতুন ব্যবস্থা?
সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রায়শই সময়মতো হাসপাতালে না আসা, ডিউটির সময় ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখা বা বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করার মতো অভিযোগ ওঠে। এই সব অভিযোগের মোকাবিলা করতেই জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন এই নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে। এর আগে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ডাক্তারদের কম উপস্থিতি নিয়ে জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল। এমনকি, ৭৫ শতাংশের কম হাজিরা থাকলে বেতন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ
- ১ মে, ২০২৫: এই তারিখ থেকে নতুন ফেস-ভিত্তিক বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা চালু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
- ১ অক্টোবর, ২০২৫: এই তারিখ থেকে পুরনো কিউআর কোড-ভিত্তিক হাজিরা ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এই নতুন অ্যাপ-ভিত্তিক হাজিরা ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিয়ে স্বচ্ছতা আসবে এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।