Life Certificate জমা না দিলে কি তৎক্ষণাৎ পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে? সরকারি নিয়ম কী বলছে দেখুন
পেনশন প্রাপকরা নভেম্বর মাসের মধ্যে লাইফ সার্টিফিকেট জমা না করলেও সাথে সাথেই পেনশন বন্ধ হবে না।
Life Certificate: পেনশন প্রাপকদের কাছে নভেম্বর মাসটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মাসেই নিয়ম অনুযায়ী লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। নভেম্বর মাস জুড়ে যেকোনো দিন ব্যাংক অথবা ট্রেজারি অফিসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করা যায়। আপনি জানেন কি, লাইফ সার্টিফিকেট জমা না করলে সঙ্গে সঙ্গেই কি পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে। দেখুন বিস্তারিত এখানে।
যেহেতু পেনশন প্রাপকরা বয়স্ক হন, তাই তাদের শারীরিক অবস্থা সব সময় ভালো থাকে না। বয়স বাড়ার সাথে সাথে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অসুস্থতা জনিত কারণে বা অন্য কোন কারণে যদি নভেম্বর মাসের মধ্যে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়া সম্ভব না হয় তাহলে কি সঙ্গে সঙ্গেই পেনশন বন্ধ হবে?
এক কথায় এর উত্তর হল না, লাইফ সার্টিফিকেট জমা না দিলে তৎক্ষণাৎ পেনশন বন্ধ হবে না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে নভেম্বর মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা না করতে পারলেও পরবর্তী বছরের ৩১ অক্টোবরের মধ্যে তা জমা করতে হবে। তবে পরের বছরের মধ্যেও যদি লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে না পারেন তবে ব্যাংক পেনশন বন্ধ করে দেবে।
অর্থাৎ এটা পরিষ্কার যে, লাইফ সার্টিফিকেট জমা না করতে পারলে পেনশন বন্ধ হয়ে যাবেই। তবে তা নভেম্বরের মধ্যে করে উঠতে না পারলে পরবর্তী অক্টোবর মাসের মধ্যে জমা করলেও কোন সমস্যা নেই। তবে তার পরেও যদি না জমা করতে পারেন তবে পেনশন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এখন লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার অনেকগুলি বিকল্প আছে। পেনশন হলো ব্যক্তির ন্যায্য প্রাপ্য। সরকারের কোন নিয়ম তার থেকে পেনশন প্রাপক কে বঞ্চিত হতে দিতে পারে না। যদি কোন কারণে ব্যাংকে যাওয়া সম্ভব না হয়, তবে অবশ্যই ব্যাংকে খবর দিয়ে দিতে হবে। গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে ব্যাংক কর্মীরা বাড়িতে এসে পেনশন প্রাপকের সই কিংবা টিপছাপ নিয়ে যাবে।
এছাড়াও জীবন প্রমাণ পোর্টাল থেকে অনলাইনেও লাইফ সার্টিফিকেট জমা করা যায়। এক্ষেত্রে পেনশন প্রাপকের ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রয়োজন। তবে পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে কেবলমাত্র মোবাইলের মাধ্যমে ফেস অথেন্টিকেশনের সাহায্যে বাড়িতে বসেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা করা যাবে।