In-Service TET Case: সকল শিক্ষকদের টেট পাস বাধ্যতামূলক মামলার ওপেন কোর্টে রিভিউ পিটিশনের আর্জি

In-Service TET Case: সম্প্রতি, সমস্ত শিক্ষকদের জন্য টেট (Teacher Eligibility Test) পাস বাধ্যতামূলক করার মামলাটি আবার সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে। উত্তর প্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে, যা নিয়ে শিক্ষক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। এই প্রতিবেদনে, আমরা এই মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি, আইনি প্রক্রিয়া এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
মামলার বর্তমান অবস্থা
উত্তর প্রদেশ সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে, যেখানে আর্জি জানানো হয়েছে যে এই মামলার শুনানি যেন ওপেন কোর্টে হয়। সাধারণত, রিভিউ পিটিশনের শুনানি বিচারপতিদের চেম্বারে হয়, কিন্তু এই ক্ষেত্রে সরকার মৌখিক শুনানির (oral hearing) জন্য আবেদন জানিয়েছে। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে যে, সরকার নতুন কিছু তথ্য ও যুক্তি উপস্থাপন করতে চায় যা আগের শুনানিতে বিবেচনা করা হয়নি।
ইতিমধ্যেই তিনটি নতুন IA (Interlocutory Application) ফাইল করা হয়েছে, যার মধ্যে একটিতে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে এবং অন্যটিতে ওপেন কোর্টে শুনানির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
ওপেন কোর্টে শুনানির সম্ভাবনা কতটা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, রিভিউ পিটিশনের ক্ষেত্রে ওপেন কোর্টে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। সুপ্রিম কোর্ট সাধারণত সেইসব ক্ষেত্রেই ওপেন কোর্টে শুনানির অনুমতি দেয় যেখানে নতুন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য সামনে আসে যা মামলার রায়কে প্রভাবিত করতে পারে। যদি নতুন তথ্যের গুরুত্ব কম থাকে, তবে এই আবেদন খারিজ হয়ে যেতে পারে এবং শুনানি চেম্বারেই হতে পারে।
যেমন, এসএসসি-র ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের মামলায় রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হলেও, ওপেন কোর্টে শুনানির আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল এবং চেম্বারেই শুনানি হয়েছিল।
রায়ের পরিবর্তনের সম্ভাবনা কতটা?
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল রায়ের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেই চলে। সুপ্রিম কোর্ট সাধারণত নিজের দেওয়া রায় খুব কম ক্ষেত্রেই পরিবর্তন করে। রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে কিছুটা সময় পাওয়া গেলেও, চূড়ান্ত রায় একই থাকার সম্ভাবনা বেশি।
এর কারণ হলো, সুপ্রিম কোর্ট যখন কোনো রায় দেয়, তখন সমস্ত দিক বিচার-বিবেচনা করেই দেয়। তাই, শুধুমাত্র রিভিউ পিটিশনের ভিত্তিতে সেই রায় পরিবর্তন করা কঠিন।
শিক্ষকদের উপর এর প্রভাব
যদি সুপ্রিম কোর্টের রায় বহাল থাকে, তবে সমস্ত কর্মরত শিক্ষকদের জন্য টেট পাস বাধ্যতামূলক হয়ে যাবে। এর ফলে, যে সমস্ত শিক্ষকরা এখনো টেট পাস করেননি, তাদের চাকরি বাঁচিয়ে রাখার জন্য বা পদোন্নতির জন্য টেট পাস করতে হবে।
এই পরিস্থিতি অনেক শিক্ষকের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যারা অনেক বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন এবং তাদের ক্ষেত্রে টেট-এর মতো পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া কঠিন হতে পারে।
শেষ কথা
আপাতত, এই মামলার পরবর্তী আপডেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ওপেন কোর্টে শুনানি হবে কিনা এবং হলেও তার ফলাফল কী হবে, তা সময়ই বলবে। তবে, বর্তমান পরিস্থিতি থেকে এটা স্পষ্ট যে, শিক্ষকদের জন্য আগামী দিনগুলো বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে।