In-service TET review: শিক্ষকদের TET বাধ্যতামূলক! সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের আবেদন সহ ২০টি রিভিউ পিটিশন, পরবর্তী শুনানি কবে?
In-service TET review: শিক্ষকদের জন্য টেট (Teacher Eligibility Test) বাধ্যতামূলক করার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্যের মামলা সহ মোট ২০টি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। শীর্ষ আদালতে রাজ্যের পক্ষ থেকে একটি মিসলেনিয়াস অ্যাপ্লিকেশনও জমা দেওয়া হয়েছে। এই গুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলির শুনানি কবে হবে এবং বর্তমানে মামলার স্ট্যাটাস কী, সেই সংক্রান্ত তথ্য সুপ্রিম কোর্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাচ্ছে।
মূল মামলার বিবরণ
এই মুহূর্তে শিক্ষকদের টেট বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত মূল মামলাটির ডায়রি নম্বর হলো 3646, 2018 সালের। মামলাটি ‘আঞ্জুমান ইশাদ ই তালিম ট্রাস্ট বনাম স্টেট অফ মহারাষ্ট্র’ নামে ২০১৮ সালে দায়ের করা হয়েছিল। মাননীয় বিচারপতি দীপাঙ্কর দত্ত মহাশয়ের বেঞ্চে গত ১৯/০৪/২০২৫ তারিখে এই মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হয়। এই রায়ের পরেই এর সঙ্গে সম্পর্কিত একাধিক রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে এবং মামলাটি বর্তমানে মাননীয় প্রধান বিচারপতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।
রিভিউ পিটিশন ও রাজ্যের পদক্ষেপ
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে মোট ২০টি পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। বর্তমানে মূল মামলার সঙ্গে সমস্ত রিভিউ পিটিশনগুলিকে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং সবকটিই ‘পেন্ডিং’ অবস্থায় রয়েছে।
- মোট পিটিশন: ২০টি
- মিসলেনিয়াস অ্যাপ্লিকেশন: ৩টি (এর মধ্যে একটি রাজ্যের)
- রিভিউ পিটিশন: বাকিগুলি
- রিট পিটিশন: একটি রিট পিটিশনও এর সঙ্গে কানেক্টেড হয়েছে।
এই সমস্ত মামলাগুলি একসঙ্গে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনপশ্চিমবঙ্গের ভূমিকা
রাজ্যের পক্ষ থেকে যে মিসলেনিয়াস অ্যাপ্লিকেশনটি দাখিল করা হয়েছে, তার ডায়েরি নম্বর 675, 2025। পিটিশনার হলেন বিশ্বনাথ দাস (বনাম স্টেট অফ মহারাষ্ট্র)। এই আবেদনটি সদ্য ২৭/১০/২০২৫ তারিখে ফাইল করা হয়েছে। এই অ্যাপ্লিকেশনটির মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ১৯/০৪/২০২৫ তারিখের টেট বাধ্যতামূলক মামলার মূল রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের নবান্ন থেকে অনুমতি সাপেক্ষে, রাজ্য সরকার খুব শীঘ্রই এই রায়ের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে চলেছে। রাজ্য সরকার এই আদেশের পরিমার্জন বা মডিফিকেশনের জন্য আদালতে আবেদন জানাবে।
মূল মামলার সঙ্গে মোট ১৮টি মামলা কানেক্টেড রয়েছে, যেগুলির স্ট্যাটাস ‘চ্যালেঞ্জড’ দেখাচ্ছে। এর সঙ্গে মহারাষ্ট্র হাইকোর্টের যে মামলাগুলি (১২/০১/২০১৭ এবং ১৫/০১/২০১৫ তারিখের) সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ হয়েছিল, সেগুলিও এই মামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। সব মিলিয়ে, শিক্ষকদের চাকরির ভবিষ্যৎ এখন এই সম্মিলিত মামলার রায়ের উপর নির্ভর করছে।