Madhyamik Exam: মাধ্যমিকের মুখে বড় সংকট! কমিশনের ভূমিকা নিয়ে সরব শিক্ষামন্ত্রী, বিপাকে পরীক্ষার্থীরা?
Madhyamik Exam: সামনেই রাজ্যের সবথেকে বড় বোর্ড পরীক্ষা, অর্থাৎ মাধ্যমিক। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীর জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ঠিক এই আবহে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে। একদিকে যখন ছাত্রছাত্রীরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, অন্যদিকে তখন স্কুলগুলিতে দেখা দিয়েছে তীব্র শিক্ষক সংকট। এই সংকটের মূল কারণ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ বা এসআইআর (SIR)। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে শিক্ষকদের বিএলও (BLO) হিসেবে ডিউটি দেওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক সংঘাত, যা নিয়ে এবার সরাসরি মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। পর্ষদের মতে, পরীক্ষার ঠিক আগের মুহূর্তে যদি বিপুল সংখ্যক শিক্ষককে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত রাখা হয়, তবে পঠনপাঠন এবং পরীক্ষা পরিচালনার কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছে পর্ষদ। পর্ষদের এই পদক্ষেপকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন।
শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভ ও কমিশনের ভূমিকা
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক এবং একতরফা বলে অভিহিত করেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে, শিক্ষা দপ্তরকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাঁর মতে, রাজ্য সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই শিক্ষকদের নির্বাচনী কাজে তলব করা হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী।
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসা প্রধান বিষয়গুলি হলো:
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন- সমন্বয়ের অভাব: শিক্ষা দপ্তর বা পর্ষদকে আগাম কোনো তথ্য (Intimation) না দিয়েই শিক্ষকদের বিএলও বা এসআইআর-এর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে।
- পরীক্ষায় প্রভাব: সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই সময়ে শিক্ষকদের স্কুল থেকে সরিয়ে নিলে পরীক্ষা কেন্দ্র প্রস্তুত করা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
- কঠোর সমালোচনা: কমিশনের এই আচরণকে শিক্ষামন্ত্রী রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে চলার প্রবণতা হিসেবে দেখছেন। তিনি একে সরাসরি “একনায়কতন্ত্র” বা “তানাশাহী” মানসিকতার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে স্কুলগুলির প্রধান শিক্ষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। একদিকে সিলেবাস রিভিশন এবং টেস্ট পেপার সলভ করানোর চাপ, অন্যদিকে শিক্ষকদের অনুপস্থিতি— সব মিলিয়ে মাধ্যমিকের ঠিক আগে রাজ্যের শিক্ষাঙ্গনে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কমিশনের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হয় এবং শিক্ষা দপ্তরের আপত্তিতে কোনো সুরাহা মেলে কি না, সেদিকেই এখন তাকিয়ে রাজ্যের শিক্ষামহল।