New Birth Certificate Rules: জন্ম সার্টিফিকেট নিয়ে বড় খবর! বদলে গেল অনেক নিয়ম, না জানলে সমস্যায় পড়বেন

New Birth Certificate Rules: ভারত সরকার জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন, ২০২৩-এ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে, যা ১ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে কার্যকর হয়েছে। এই নতুন নিয়মগুলির প্রধান উদ্দেশ্য হল জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধীকরণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ, স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল করা। এর ফলে, জন্ম সনদ একটি একক এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য হবে, যা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে। আসুন, আমরা এই নতুন নিয়মগুলি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নিই।
জন্ম সনদের নতুন নিয়মাবলী
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধনী) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, এখন থেকে জন্ম সনদকে একটি একক নথি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এর অর্থ হল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি, ভোটার তালিকাভুক্তি, আধার নম্বর প্রাপ্তি, বিবাহ নিবন্ধন, এবং সরকারি চাকরিতে নিয়োগের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে জন্ম সনদই প্রধান প্রমাণপত্র হিসেবে গণ্য হবে।
এই নতুন আইনের অধীনে, একটি জাতীয় পর্যায়ের জন্ম ও মৃত্যুর ডাটাবেস তৈরি করা হবে। এর ফলে, সমস্ত তথ্য এক জায়গায় সংরক্ষিত থাকবে এবং বিভিন্ন পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্যের যাচাই প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। রাজ্য সরকারগুলিকে কেন্দ্র সরকারের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম (CRS) পোর্টালে জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য নিবন্ধন করতে হবে এবং এই তথ্য ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সাথে শেয়ার করতে হবে।
ডিজিটাল জন্ম সনদ
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সমস্ত জন্ম ও মৃত্যু এখন ডিজিটালভাবে নিবন্ধন করা হবে। এর ফলে, মানুষ সহজেই অনলাইনে জন্ম সনদের জন্য আবেদন করতে এবং ডিজিটাল সনদপত্র ডাউনলোড করতে পারবে। এই ডিজিটাল জন্ম সনদপত্র সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে বৈধ হবে। এটি কেবল প্রক্রিয়াটিকে সহজই করবে না, বরং কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায়ও সাহায্য করবে।
পাসপোর্টের নিয়মে পরিবর্তন
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১ অক্টোবর, ২০২৩ বা তার পরে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের জন্য পাসপোর্টের আবেদন করার সময় জন্ম সনদই বয়সের একমাত্র প্রমাণপত্র হিসেবে গ্রহণ করা হবে। তবে, এর আগে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য আগের মতোই অন্যান্য নথি, যেমন স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট, প্যান কার্ড, বা ড্রাইভিং লাইসেন্স, বয়সের প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
কারা নিবন্ধন করতে পারবেন?
জন্ম নিবন্ধনের জন্য দায়বদ্ধ ব্যক্তিদের তালিকাও প্রসারিত করা হয়েছে। এখন থেকে, দত্তক নেওয়া সন্তানের ক্ষেত্রে দত্তক পিতামাতা, সারোগেসির মাধ্যমে জন্ম নেওয়া সন্তানের ক্ষেত্রে জৈবিক পিতামাতা, এবং একক পিতামাতা বা অবিবাহিত মায়ের ক্ষেত্রে সন্তানের পিতামাতা জন্ম নিবন্ধন করতে পারবেন।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
- ধর্মের উল্লেখ: নতুন ফর্মে শিশুর বাবা ও মায়ের ধর্ম আলাদাভাবে উল্লেখ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
- বিলম্বিত নিবন্ধন: জন্মের ২১ দিনের মধ্যে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।
- নাম সংযোজন: জন্মের সময় নাম না দেওয়া হলে, পরে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নাম সংযোজন করার সুযোগ রয়েছে।
এই নতুন নিয়মগুলি ভারতের নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি কেবল বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করবে না, বরং একটি স্বচ্ছ এবং ডিজিটাল ভারত গড়ার দিকেও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।