New Shramashree App: পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নতুন অ্যাপ, রইল আবেদন করার সহজ পদ্ধতি, ঘরে বসেই পান ৫০০০ টাকা

New Shramashree App: পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন “শ্রমশ্রী” চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে পরিযায়ী শ্রমিকরা এখন আরও সহজে এবং সরাসরিভাবে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন। আজকের এই পোস্টে, আমরা শ্রমশ্রী অ্যাপের নতুন বৈশিষ্ট্য, আবেদন প্রক্রিয়া এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
শ্রমশ্রী অ্যাপ কী এবং কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?
শ্রমশ্রী অ্যাপটি মূলত পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে, যারা পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বা ভারতের বাইরে কর্মরত। এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা সরাসরি “কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিক” পোর্টালে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন এবং শ্রমশ্রী প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন আর্থিক সহায়তার জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই অ্যাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, এখন আর কম্পিউটার বা ল্যাপটপের প্রয়োজন নেই, মোবাইলের মাধ্যমেই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করা যাবে।
নতুন অ্যাপের মূল বৈশিষ্ট্য
- সরাসরি রেজিস্ট্রেশন: নতুন অ্যাপের মাধ্যমে কর্মসাথী পোর্টালে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে নাম নথিভুক্ত করা যাবে।
- সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: শ্রমশ্রী প্রকল্পের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকে আরও সহজ এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব করা হয়েছে।
- লোকেশন-ভিত্তিক পরিষেবা: অ্যাপটি আপনার বর্তমান অবস্থান ব্যবহার করে, যা আবেদনকারীর সত্যতা যাচাই করতে সাহায্য করে।
- প্রতারণা রোধ: নতুন অ্যাপে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য যুক্ত করা হয়েছে, যা ভুয়ো আবেদন রোধ করতে সাহায্য করবে।
আবেদন প্রক্রিয়া
শ্রমশ্রী অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করার জন্য নীচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
১. অ্যাপ ডাউনলোড এবং ইনস্টলেশন:
- প্রথমে, কর্মসাথী পরিযায়ী শ্রমিকের ওয়েবসাইট (https://karmasathips.wb.gov.in/) থেকে “Click Here to Download” লিঙ্কে ক্লিক করে অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
- ডাউনলোড করা APK ফাইলটি আপনার মোবাইলে ইনস্টল করুন।
২. রেজিস্ট্রেশন:
- অ্যাপটি খুলে “Register” বাটনে ক্লিক করুন।
- আপনার মোবাইল নম্বর দিন এবং “Generate OTP” তে ক্লিক করুন।
- প্রাপ্ত OTP দিয়ে “Validate OTP” করুন।
- আপনার নাম, আধার নম্বর এবং অভিভাবকের নাম দিয়ে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন।
৩. আবেদনপত্র পূরণ:
- ব্যক্তিগত তথ্য: আপনার জরুরি যোগাযোগ নম্বর, লিঙ্গ, ধর্ম, বিভাগ, জন্ম তারিখ, রেশন কার্ডের ধরন ও নম্বর এবং ভোটার কার্ড নম্বর দিন।
- স্থায়ী ঠিকানা: আপনার জেলা, মহকুমা, ব্লক, থানা, পিনকোড এবং সম্পূর্ণ ঠিকানা লিখুন।
- কর্মস্থলের বিবরণ: আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গের বাইরে কিন্তু ভারতে কাজ করেন, তাহলে আপনার কর্মস্থলের রাজ্য এবং থানা নির্বাচন করুন। যদি ভারতের বাইরে কাজ করেন, তাহলে দেশের নাম, কাজের ঠিকানা এবং পাসপোর্ট নম্বর দিন।
- কাজের তথ্য: আপনার কাজের ধরন, পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করার তারিখ এবং আপনার দৈনিক মজুরি উল্লেখ করুন।
- নিয়োগকর্তার বিবরণ: আপনি যদি স্ব-নিযুক্ত হন, তাহলে নিয়োগকর্তার বিবরণ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অন্যথায়, এজেন্ট বা কোম্পানির নাম, ফোন নম্বর এবং ঠিকানা দিন।
- ব্যাঙ্কের বিবরণ: আপনার ব্যাঙ্কের নাম, শাখার নাম, IFSC কোড এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন।
- নমিনীর বিবরণ: নমিনীর নাম, সম্পর্ক, আধার নম্বর এবং ফোন নম্বর দিন।
- পরিবারের বিবরণ: আপনার পরিবারের সদস্যদের নাম, লিঙ্গ, বয়স এবং আধার নম্বর যোগ করুন।
- নথি আপলোড: আপনার ছবি, আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাসবই, ভোটার আইডি এবং রেজিস্ট্রেশনের বিবরণ আপলোড করুন (JPG বা PDF ফরম্যাটে এবং 500 KB-র কম)।
৪. চূড়ান্ত জমা:
- সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করে “Final Submit” বাটনে ক্লিক করুন।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- এই প্রকল্পের অধীনে ৫০০০ টাকার ভ্রমণ সহায়তা পাওয়ার জন্য, আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে আবেদন করতে হবে। অ্যাপটি আপনার অবস্থান ট্র্যাক করে, তাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে আবেদন করলে আপনি এই সহায়তার জন্য যোগ্য হবেন না।
- আবেদন জমা দেওয়ার পরে, আপনি “Check Status” বিকল্পের মাধ্যমে আপনার আবেদনের স্থিতি দেখতে পারবেন।
এই নতুন শ্রমশ্রী অ্যাপটি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য একটি অত্যন্ত উপকারী পদক্ষেপ। এর মাধ্যমে তারা সহজেই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারবেন এবং তাদের অধিকার সুরক্ষিত করতে পারবেন।