OBC Case: আজই কি ফয়সালা? কলকাতা হাইকোর্টে ওবিসি বিজ্ঞপ্তি মামলার চূড়ান্ত রায়?

OBC Case: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ আজ, মঙ্গলবার, রাজ্যের আলোচিত ওবিসি বিজ্ঞপ্তি মামলায় চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করতে পারে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি নির্ধারিত রয়েছে, এবং রাজ্যের ভবিষ্যৎ সংরক্ষণ নীতির ওপর এই রায়ের গভীর প্রভাব পড়তে পারে।
মামলার প্রেক্ষাপট
এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় যখন রাজ্য সরকার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত এবং একটি সমীক্ষার ভিত্তিতে ১৪০টি সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করে ওবিসি তালিকা প্রকাশ করে। এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে ১৭% ওবিসি সংরক্ষণ কার্যকর হয়। কিন্তু, ২০১০ এবং ২০১৩ সালে দায়ের করা মামলার আবেদনকারীরা এই নতুন বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে আদালতে যান। তাদের মূল অভিযোগ, রাজ্য সরকার যথাযথ সমীক্ষা ছাড়াই এবং আদালতের পূর্ববর্তী নির্দেশ অমান্য করে এই তালিকা তৈরি করেছে। আবেদনকারীরা অবিলম্বে এই বিজ্ঞপ্তির ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন।
গত শুনানিতে যা ঘটেছিল
পূর্ববর্তী শুনানিতে হাইকোর্ট মামলাটি গ্রহণ করলেও বিজ্ঞপ্তির ওপর অবিলম্বে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে। বিচারপতিরা জানিয়েছিলেন যে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য ওবিসি কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত বক্তব্য শোনার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পর্যবেক্ষণ করেছিলেন যে, যথাযথ সমীক্ষা ছাড়া তাড়াহুড়ো করে এই তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে রাজ্য সরকার নিজেই একটি জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিতর্ককে কেন্দ্র করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দৃঢ়ভাবে জানান যে, তার সরকার সমস্ত ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধ। মুখ্যমন্ত্রী এও স্পষ্ট করেন যে, ওবিসি তালিকা হাইকোর্টের নির্দেশিকা এবং সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি মেনেই করা হয়েছে। যদিও কিছু ক্ষেত্রে অসন্তোষ রয়েছে, তবে সংশ্লিষ্ট কমিশন ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
আজকের রায়ের গুরুত্ব
আজকের দিনটি রাজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই নির্ধারণ করবে রাজ্যের বর্তমান ওবিসি সংরক্ষণের ভবিষ্যৎ। এই রায় রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা, চাকরি এবং সামাজিক সমীকরণের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। সকলের নজর এখন আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকে।