Primary 2020-22 Case: ১১,৭৬৫ শূন্যপদ নিয়ে নতুন খেলা? D.El.Ed. 20-22 প্রার্থীদের ভবিষ্যৎ এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে

Primary 2020-22 Case: কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও ডি.এল.এড ২০২০ -২২ ব্যাচের চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে জটিলতা অব্যাহত। সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন বিবিধ আবেদন (miscellaneous application) দাখিল করেছে, যা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং চাকরিপ্রার্থীদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই আবেদনের মূল উদ্দেশ্য হলো ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার অবশিষ্ট ১১,৭৬৫ টি শূন্যপদের পুনর্বিন্যাস বা পুনঃবরাদ্দের জন্য আদালতের নির্দেশনা চাওয়া।
মামলার বর্তমান পরিস্থিতি
সুপ্রিম কোর্ট ২০২৪ সালের ৪ঠা এপ্রিল একটি রায় দিয়েছিল, যেখানে ডি.এল.এড ২০-২২ ব্যাচের প্রার্থীদের অবিলম্বে নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই রায়ের পরেও চাকরিপ্রার্থীরা এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। পর্ষদের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ কার্যকর করতে অপারগতা বা অনিচ্ছার অভিযোগ উঠেছে। প্রথমে পর্ষদ জানিয়েছিল যে ডি.এল.এড ২০-২২ প্রার্থীদের জন্য ২১০০-র বেশি শূন্যপদ সংরক্ষিত আছে। কিন্তু তাদের নতুন আবেদনে তারা অবশিষ্ট শূন্যপদ নিয়ে এক উভয়সঙ্কটের কথা উল্লেখ করেছে, যা তাদের পূর্ববর্তী দাবির সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত।
পর্ষদের নতুন আবেদনের কারণ
পর্ষদের দাখিল করা নতুন আবেদনের মূল বিষয় হলো ২০২২ সালের বিজ্ঞপ্তির অধীনে থাকা ১১,৭৬৫ টি শূন্যপদের “পুনর্বিন্যাস বা পুনঃবরাদ্দ” (reclassification or reappropriation) করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার প্রার্থনা। এর ফলে কার্যত সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়াটিই নতুন করে মূল্যায়নের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। পর্ষদের এই পদক্ষেপে মনে হচ্ছে যে, ডি.এল.এড ২০-২২ প্রার্থীদের কীভাবে নিয়োগ করা হবে, সেই বিষয়ে তারা নিজেরাই বিভ্রান্ত। উপলব্ধ শূন্যপদের অভাবের কারণেই তারা এই প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে পারছে না বলে আবেদনে ইঙ্গিত দিয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?
পর্ষদের এই নতুন আবেদনের ফলে ডি.এল.এড ২০২০-২২ চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ আরও একবার অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এখন সম্পূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল। এই মামলার সম্ভাব্য কয়েকটি সমাধান হতে পারে:
- শূন্যপদ সংরক্ষণ: যদি এনআইওএস ডি.এল.এড (NIOS D.El.Ed.) প্রার্থীরা প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারেন, তবে সেই শূন্যপদগুলি ডি.এল.এড ২০-২২ প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত হতে পারে।
- সুপারনিউমেরারি পদ সৃষ্টি: সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজন মনে করলে রাজ্য সরকারকে সুপারনিউমেরারি বা অতিরিক্ত পদ তৈরি করে এই প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দিতে পারে।
আপাতত, সকল চাকরিপ্রার্থী এবং শিক্ষামহল সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে ডি.এল.এড ২০-২২ ব্যাচের হাজার হাজার প্রার্থীর ভবিষ্যৎ।