32000 Teacher Case Judgment: ৩২০০০ প্রাথমিক শিক্ষক মামলার চূড়ান্ত রায় আজ, আদালতের দিকে তাকিয়ে হাজার হাজার শিক্ষক
32000 Teacher Case Judgment: পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষা জগতের ইতিহাসে আজ, অর্থাৎ ৩রা ডিসেম্বর ২০২৫, একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। দীর্ঘ আইনি জটিলতা এবং হাজার হাজার শিক্ষকের উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঘোষিত হতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত ৩২,০০০ এবং ৬,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার চূড়ান্ত রায়। কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার ফয়সালা হবে, যার দিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা রাজ্য।
রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি থাকা না থাকা নির্ভর করছে এই রায়ের ওপর। দীর্ঘ শুনানির পর আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা থেকে শুরু করে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকরা।
শুনানির সময়সূচি ও বেঞ্চের বিবরণ
আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টে এই হাই-প্রোফাইল মামলাটির রায়দান পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে সকলের নজর থাকবে ১১ নম্বর এজলাসের দিকে। নিচে শুনানির বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হলো:
| বিবরণ | তথ্য |
|---|---|
| তারিখ | ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৫ |
| সময় | দুপুর ২টো |
| বিচারপতি | বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্র |
| কোর্ট নম্বর | ১১ নম্বর এজলাস |
| মামলার ধরন | MAT মামলা (WBBPE এবং অন্যান্য) |
ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অফ প্রাইমারি এডুকেশন (WBBPE) এবং অন্যান্যদের দায়ের করা প্রায় ৪৪টি ম্যাট (MAT) মামলা শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। এর সঙ্গে ১৪৬টি ক্যান (CAN) অ্যাপ্লিকেশনও এই রায়ের অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনআদালতের রায়ে কোন পথে মোড় নিতে পারে মামলা?
আইনজীবী এবং সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, আজকের রায়টি কেবল সাধারণ কোনো নির্দেশ বা ‘অর্ডার’ নয়, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ ‘জাজমেন্ট’ হতে চলেছে। এই রায়ের ওপর ভিত্তি করে মূলত তিনটি সম্ভাবনা উঠে আসছে:
- চাকরি বহাল থাকার সম্ভাবনা: সবথেকে বড় স্বস্তির খবর হতে পারে যদি ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের আগের চাকরি বাতিলের রায়টি সম্পূর্ণ খারিজ করে দেয়। সেক্ষেত্রে কর্মরত ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি সুরক্ষিত হবে এবং তারা ‘সেফ গার্ড’ পাবেন।
- মধ্যপন্থা অবলম্বন: আদালত এমন কোনো রায় দিতে পারে যেখানে পিটিশনার বা মামলাকারী (যাদের সংখ্যা প্রায় ১৪০-১৫০ জন), তাদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়া হবে এবং একইসাথে বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের চাকরিও বহাল রাখা হবে। একে একটি ভারসাম্যমূলক বা মধ্যপন্থা রায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
- সিঙ্গল বেঞ্চের রায় বহাল: যদিও এর সম্ভাবনা কম বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা, তবুও সিঙ্গল বেঞ্চের চাকরি বাতিলের নির্দেশ বহাল রাখার বিষয়টিও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
ক্যান (CAN) আবেদনকারীদের ভবিষ্যৎ কী?
এই মামলায় বহু চাকরিপ্রার্থী নতুন করে যুক্ত হওয়ার জন্য বা তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য ‘ক্যান’ অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছিলেন। আদালতের রায়ে তাদের বিষয়েও স্পষ্ট নির্দেশ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, আদালত এই আবেদনকারীদের সিঙ্গল বেঞ্চে গিয়ে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করার নির্দেশ দিতে পারে। সেখানে যদি তারা নিজেদের দাবি প্রমাণ করতে সক্ষম হন, তবেই তারা পরবর্তী সুযোগ পেতে পারেন।
আজ দুপুর ২টোয় এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হয়ে যাবে হাজার হাজার পরিবারের ভবিষ্যৎ। ইতিবাচক কোনো সমাধানের আশায় বুক বাঁধছেন রাজ্যের শিক্ষক সমাজ।
