Download WB Holiday Calendar App 2026

Download Now!
চাকরি

Primary Teacher Recruitment: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: ২০১৪ ও ২০০৯ সালের মামলায় বিরাট আপডেট হাইকোর্টে, আশার আলো দেখছেন প্রার্থীরা

Primary Teacher Recruitment: পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট কি অবশেষে কাটতে চলেছে? কলকাতা হাইকোর্ট থেকে অন্তত তেমনই ইঙ্গিত মিলছে। দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা ২০১৪ এবং ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলা আজ নতুন করে গতি পেল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে আজ এই সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলা মেনশন বা উল্লেখ করা হয়েছে, যা চাকরিপ্রার্থীদের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। মূলত আইনি জটিলতায় আটকে থাকা এই মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যেই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নতুন মোড়

২০১৪ সালের টেট (TET) পরীক্ষার ভিত্তিতে হওয়া নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। এই নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত একাধিক মামলা এতদিন ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের অপেক্ষায় থমকে ছিল। বিশেষ করে ৩২,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলা (প্রিয়াঙ্কা নস্কর বনাম রাজ্য সরকার) আদালতের বিচারাধীন থাকায়, সিঙ্গল বেঞ্চে অন্যান্য ব্যক্তিগত রিট পিটিশনগুলির শুনানি সম্ভব হচ্ছিল না।

সম্প্রতি বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, ‘ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিট’ বা ব্যক্তিগত মামলার ফয়সালা সিঙ্গল বেঞ্চেই হবে। এই নির্দেশের পরেই আজ বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের এজলাসে ২০১৪ সালের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়গুলি মেনশন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি হলো:

  • কাট-অফ মার্কস ও র‍্যাঙ্ক জাম্পিং: নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কাট-অফ মার্কস নিয়ে অসঙ্গতি এবং কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের র‍্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই সংক্রান্ত মামলাগুলি এবার শুনানির পথে এগোবে।
  • সংরক্ষিত বিভাগে ৮২ নম্বর: টেট পরীক্ষায় সংরক্ষিত বিভাগে ৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ ট্রেন্ড বা প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের নিয়োগের দাবি নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলছে। ডিভিশন বেঞ্চের জট কাটায় এই মামলাগুলিও এবার গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

২০০৯ সালের নিয়োগ জট ও বঞ্চিতদের দাবি

শুধুমাত্র ২০১৪ সাল নয়, ২০০৯ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও আজ আদালতে গুরুত্বপূর্ণ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষত উত্তর ২৪ পরগনা, মালদহ এবং হাওড়া জেলার নিয়োগ নিয়ে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ২০০৯ সালের নিয়োগের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট ‘কাট-অফ ডেট’ বা সময়সীমা বেধে দিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছে, আদালতের নির্দেশিত সেই সময়সীমার মধ্যে আবেদন করা সত্ত্বেও বহু যোগ্য প্রার্থী চাকরি পাননি। আজ সেই সমস্ত বঞ্চিত প্রার্থীদের মামলাগুলিও মেনশন করা হয়েছে। মামলাকারীদের দাবি, আদালতের নির্দেশ মেনে চলা সত্ত্বেও তাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে এবং দ্রুত শুনানির মাধ্যমে তারা সুবিচার প্রার্থনা করছেন।

শুনানির বর্তমান পরিস্থিতি

আজ আদালতে মামলাগুলি মেনশন করা হলেও, ঠিক কবে নাগাদ শুনানি শুরু হবে তা নিয়ে কিছুটা সংশয় রয়েছে। বর্তমানে কলকাতা হাইকোর্টে ২০২৩-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ এবং এন.আই.ও.এস (NIOS) সংক্রান্ত জটিল মামলাগুলির শুনানি চলছে। আদালতের সময়সূচি অত্যন্ত ব্যস্ত থাকায়, ২০১৪ ও ২০০৯ সালের এই মামলাগুলি আজই শুনানির তালিকায় (List) আসবে কিনা তা নিশ্চিত নয়। তবে আইনজীবীদের একাংশ এবং মামলাকারীরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, ডিভিশন বেঞ্চের বাধার অবসান হওয়ায় খুব শীঘ্রই বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের বেঞ্চে এই মামলাগুলির নিয়মিত শুনানি শুরু হবে এবং দীর্ঘদিনের বঞ্চিত প্রার্থীরা তাদের হকের চাকরি ফিরে পাবেন।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button