RTO Faceless Service: RTO অফিসে আর নয় ঘোরাঘুরি! ড্রাইভিং লাইসেন্স, পারমিট সহ ৫০টি পরিষেবা এবার বাড়িতে বসেই, জেনে নিন বিস্তারিত
RTO Faceless Service: রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর এবার এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিতে চলেছে। আরটিও (RTO) অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি কমাতে এবার ৫০টি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা সম্পূর্ণ অনলাইন বা ‘ফেসলেস’ (Faceless) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে লার্নার লাইসেন্স থেকে শুরু করে পারমিট নবীকরণের মতো কাজের জন্য আর বারবার আরটিও অফিসে ছুটে যেতে হবে না। বাড়িতে বসেই ডিজিটাল পদ্ধতিতে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর ন্যাশনাল ইনফরমেটিক্স সেন্টার (NIC) এবং পরিবহণ দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্তাদের মধ্যে একটি বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। এই অনলাইন পরিষেবা চালুর মূল লক্ষ্যই হলো আরটিও অফিসকে দালাল-মুক্ত করা, মানুষের যাতায়াত কমানো এবং যানবাহন সংক্রান্ত বিভিন্ন পরিষেবায় স্বচ্ছতা নিয়ে আসা।
কোন কোন পরিষেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে?
‘ফেসলেস সার্ভিস’ উদ্যোগের আওতায় মোট ৫০টি পরিষেবা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা হলো:
- লার্নার লাইসেন্স এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত আবেদন
- লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্সে ঠিকানা পরিবর্তন
- যানবাহন নিবন্ধন (Vehicle Registration)
- পারমিট ইস্যু ও তার নবীকরণ
- বিভিন্ন ধরনের পারমিটের জন্য আবেদন
- কন্ডাক্টর লাইসেন্সের আবেদন ও নবীকরণ
রাজ্যের পরিবহণ সচিব সৌমিত্র মোহন একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, “আধার-ভিত্তিক ফেসলেস প্রমাণীকরণ ব্যবস্থা চালুর ফলে নাগরিকরা এখন অধিকাংশ মোটরযান সংক্রান্ত পরিষেবা অনলাইনেই সম্পূর্ণ করতে পারবেন। এতে তাঁদের বারবার আরটিও অফিসে যেতে হবে না।”
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনকীভাবে কাজ করবে এই নতুন ব্যবস্থা?
সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল যে, আরটিও অফিসে যেকোনো ছোটখাটো কাজের জন্যও একাধিক দিন ঘুরতে হয় এবং মিডলম্যান বা দালালদের সাহায্য ছাড়া কাজ সম্পূর্ণ করা প্রায় অসম্ভব। নতুন এই ‘ফেসলেস’ ব্যবস্থায় সেই সমস্যারই সমাধান হতে চলেছে।
আবেদনকারীরা এখন থেকে অনলাইনে বাহন (Vahan) এবং সারথি (Sarathi) পোর্টালের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করতে পারবেন। এরপর ডিজিটাল পদ্ধতিতে পেমেন্ট করা যাবে এবং অনুমোদনও মিলবে অনলাইনেই। গোটা প্রক্রিয়াটি হবে আধার-ভিত্তিক প্রমাণীকরণের মাধ্যমে, যা পরিষেবাকে আরও সুরক্ষিত ও স্বচ্ছ করে তুলবে।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে সতর্কবার্তাও জারি করা হয়েছে। যদি আবেদনকারীর আধার কার্ডের তথ্যের সঙ্গে লাইসেন্স বা গাড়ির নিবন্ধনের তথ্যে কোনো গরমিল পাওয়া যায়, তবে আবেদনটি বাতিল করা হতে পারে। এছাড়া, বায়োমেট্রিক পরিবর্তন বা নাম/জন্মতারিখ সংশোধনের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আবেদনকারীকে আরটিও অফিসে যেতে হতে পারে। পরিবহণ দপ্তর ইতিমধ্যেই এনআইসি-কে বাহন ও সারথি পোর্টাল দ্রুত আপগ্রেড করে এই নতুন পরিষেবাগুলি যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে এবং তিন দিনের মধ্যে এই বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।