Sangrami Joutha Mancha: সুদীপ চন্দের বদলি, এবং পে কমিশনের রিপোর্ট প্রসঙ্গে ভাস্কর ঘোষের বলিষ্ঠ বক্তব্য, দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক নতুন লড়াই

Sangrami Joutha Mancha: পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এক নতুন সংযোজন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। নিজেদের “অ-দলীয় রাজনৈতিক” সংগঠন হিসেবে দাবি করে, এই মঞ্চ রাজ্যের বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে এবং মেধার ভিত্তিতে সরকারি শূন্যপদ পূরণের দাবি জানাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে, এই মঞ্চের আন্দোলন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে তাদের এক সিনিয়র নেতা, সুদীপ চন্দের বদলিকে কেন্দ্র করে।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের রাজনৈতিক অবস্থান
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষের মতে, তাদের সংগঠন কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ না হলেও, তারা রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। তারা সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং সংবিধানের নীতির উপর ভিত্তি করে মেধার ভিত্তিতে সরকারি নিয়োগের দাবিতে সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। ঘোষের দাবি, অন্যান্য অনেক আন্দোলন রাজনৈতিক প্রভাবের শিকার হলেও, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ তার স্বাধীন অবস্থান বজায় রেখেছে।
সুদীপ চন্দের বদলি এবং বিতর্ক
আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সুদীপ চন্দ, যিনি সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একজন সিনিয়র এবং অত্যন্ত দক্ষ নেতা। তাকে কলকাতা থেকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর প্রান্তের আলিপুরদুয়ারে বদলি করা হয়েছে, যা ভুটান সীমান্তের কাছাকাছি। মঞ্চের অভিযোগ, এই বদলি আসলে সরকারের প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ। সুদীপ চন্দ সরকারি দুর্নীতির প্রতিবাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন এবং সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনামূলক অবস্থান নিতেন, যা এই বদলির প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
- দুর্নীতির অভিযোগ: ভাস্কর ঘোষের অভিযোগ, সুদীপ চন্দের সহকর্মীদের মধ্যে থাকা কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মচারী এই বদলির ষড়যন্ত্রে জড়িত।
- আইনি লড়াই: মঞ্চ এই বদলির বিরুদ্ধে আইনি লড়াই চালাচ্ছে। স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (SAT) প্রথমে তাদের বিরুদ্ধে রায় দিলেও, ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি পুনরায় শুনানির জন্য SAT-এর কাছে পাঠিয়েছে এবং সুদীপবাবুর নতুন কর্মস্থলে যোগদানের উপর অস্থায়ী স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
- সিবিআই তদন্তের দাবি: মঞ্চ এখন এই বদলির পিছনে থাকা দুর্নীতির তদন্তের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে। তাদের বিশ্বাস, এই বদলির মাধ্যমে বিভাগের ভেতরের দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পে কমিশন রিপোর্টের সমালোচনা
ভাস্কর ঘোষ পে কমিশন রিপোর্টেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তার মতে, কমিশনের চেয়ারম্যান সততার অভাব দেখিয়েছেন এবং জনকল্যাণের চেয়ে সরকারের প্রতি আনুগত্যকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের ব্যক্তিরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিবেককে “ঘুম পাড়িয়ে” রেখেছেন, যার ফলে সরকারি দুর্নীতি বেড়ে চলেছে।
ভবিষ্যতের পথ
ভাস্কর ঘোষ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন, যা পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। এই আন্দোলন শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির বদলির বিরুদ্ধে নয়, বরং এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে এক বৃহত্তর লড়াইয়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে।