SLST Rules Case: নিয়োগ বিধিতে বড়সড় জট! আজই হাইভোল্টেজ শুনানি হাইকোর্টে, বাতিলের পথে কি নতুন রুলস?
SLST Rules Case: রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের আইনি জট। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) বহু প্রতীক্ষিত SLST 2025-এর নিয়োগ বিধি বা রুলসকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শুনানি আজ, ১লা ডিসেম্বর, কলকাতা হাইকোর্টে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে দিন গুনছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী, আর তাঁদের সকলের নজর আজ আদালতের দিকে। বিশেষ করে, নতুন গেজেট বা রুলসে যে পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে, তা নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা আজ কাটবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মামলার বর্তমান অবস্থান ও আদালতের তথ্য
আজকের এই হাইভোল্টেজ মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে। আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা বা কজ লিস্ট অনুযায়ী, মামলাটি বেশ ওপরের দিকেই রয়েছে, যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে আজই এই বিষয়ে বড় কোনও নির্দেশ আসতে পারে। লাঞ্চ ব্রেকের আগেই, অর্থাৎ বেলা ১২টা থেকে ১২:৩০ নাগাদ এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।
মামলাটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলী নিচে ছকের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো:
| বিষয় | বিস্তারিত তথ্য |
|---|---|
| রিট পিটিশন নম্বর | WPA 12434 of 2025 |
| বিচারপতি | মাননীয়া বিচারপতি অমৃতা সিনহা |
| কোর্ট নম্বর | ১৮ (সিঙ্গেল বেঞ্চ) |
| সিরিয়াল নম্বর | ২০ (Daily Cause List) |
| মামলাকারী | লুবনা পারভীন বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার |
কেন এই রুলস চ্যালেঞ্জ? বিতর্কের মূল কেন্দ্রবিন্দু
এসএসসির নতুন নিয়োগ বিধি নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। মূলত নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ‘টিচিং এক্সপেরিয়েন্স’ বা শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য যে বিশেষ সুবিধা বা ওয়েটেজ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা নিয়েই মূল আপত্তি মামলাকারীদের। তাঁদের দাবি, এই নিয়ম সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্ট এবং সাধারণ চাকরিপ্রার্থীদের স্বার্থের পরিপন্থী।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনমামলাকারীদের আইনজীবীদের যুক্তি অনুযায়ী, এই নতুন রুলস চ্যালেঞ্জ করার প্রধান কারণগুলি হলো:
- সংবিধান লঙ্ঘন: নতুন রুলস ভারতীয় সংবিধানের ১৪, ১৬, ১৯ এবং ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ। সমতার অধিকার এবং কর্মসংস্থানের সমান সুযোগের অধিকার থেকে সাধারণ প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।
- স্বজনপোষণের অভিযোগ: অভিযোগ উঠেছে যে, বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অসৎ উদ্দেশ্যেই এই ‘টিচিং এক্সপেরিয়েন্স’-এর নিয়মটি রুলসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক: মামলাকারীদের মতে, এসএসসির এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাচারী (Arbitrary) এবং অযৌক্তিক (Unreasonable)। এটি মেধাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করবে।
প্রেক্ষাপট ও চাকরিপ্রার্থীদের দাবি
এই মামলাটি মূলত সেইসব প্রার্থীদের দ্বারা দায়ের করা হয়েছে, যারা ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন এবং এখন ২০২৫ সালের নতুন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে গিয়ে দেখছেন যে রুলস এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যা তাঁদের আবারও বঞ্চিত করতে পারে। তাঁরা আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন যেন এই ত্রুটিপূর্ণ নোটিফিকেশনটি সম্পূর্ণ বাতিল বা ‘Set aside’ করা হয়।
গত ২৮শে জানুয়ারি, ২০২৫ তারিখে আদালত এই মামলায় এফিডেভিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আজ সেই পর্ব শেষে আদালত কী রায় দেয় বা পরবর্তী কী নির্দেশ আসে, তার ওপর নির্ভর করছে রাজ্যের আগামী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎ।