SSC Teacher: চাকরিহারা শিক্ষকদের জন্য বিশেষ সুবিধা: বয়স এবং অভিজ্ঞতায় ছাড় দিয়েই রাজ্যে ৪৪,২০৩ পদে নিয়োগ

SSC Teacher: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসরণ করে, স্কুল শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের ঘোষণা করেছে। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার খুঁটিনাটি প্রকাশ করেন, যেখানে চাকরিহারা শিক্ষকদের জন্য বয়স এবং অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মোট ৪৪,২০৩টি শূন্যপদ পূরণের এই উদ্যোগে, ২০১৬ সালের প্রক্রিয়ায় চাকরি হারানো শিক্ষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার বিষয়টি বিশেষভাবে নজরে রাখা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, যে সকল শিক্ষক তাঁদের চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুসারে বয়সের ছাড় দেওয়া হবে। এটি তাঁদের জন্য এক বড় স্বস্তি, কারণ অনেকেই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁদের দীর্ঘদিনের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়ম মেনে তাঁদের লিখিত পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউতে বসতে হলেও, তাঁদের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা প্যানেল তৈরির সময় ওয়েটেজ বা বাড়তি সুবিধা দেবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, শ্রেণিকক্ষে তাঁদের পূর্বের কাজের অভিজ্ঞতা ইন্টারভিউ পর্বেও তাঁদের সহায়ক হবে। এসএসসির তরফে এই ওয়েটেজের বিস্তারিত নিয়মাবলী শীঘ্রই প্রকাশিত হবে।
এই সামগ্রিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিজ্ঞপ্তির দিন ধার্য হয়েছে ৩০শে মে। আগ্রহী প্রার্থীরা ১৬ই জুন থেকে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। ১৫ই নভেম্বরের মধ্যে সফল প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ এবং ২০শে নভেম্বর থেকে কাউন্সেলিং শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, নভেম্বরের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা, যদি না কোনও আইনি জটিলতা দেখা দেয়।
এই ৪৪,২০৩টি পদের মধ্যে যেমন পূর্ববর্তী বাতিল হওয়া ২৪,২০৩টি পদ রয়েছে, তেমনই রয়েছে সরকারের সৃষ্ট নতুন পদ। এর ফলে, নতুন চাকরিপ্রার্থীরাও এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। প্রাথমিকভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হবে, এবং পরবর্তীকালে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদের জন্যও নিয়োগ হবে।
রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে, যার অনুকূল রায় এলে পরীক্ষা ছাড়াই বিকল্প পথে নিয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। তবে, আপাতত শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনেই সমস্ত প্রক্রিয়া রূপায়িত হচ্ছে। এই পদক্ষেপে, চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিজ্ঞতাকে সম্মান জানানোর প্রয়াস স্পষ্ট।