New SSC Case: SSC-তে ১০ নম্বর নিয়ে ফের নতুন মামলা! এবার চাকরিহারাদের মধ্যেই সংঘাত, জানুন বিস্তারিত
New SSC Case: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্ক যেন থামার নামই নিচ্ছে না। ১০ নম্বর সংক্রান্ত একাধিক মামলার পর এবার একটি নতুন লড়াই শুরু হয়েছে, যা অনেককে অবাক করেছে। ২০১৬ সালের SLST পরীক্ষায় নিযুক্ত যে শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন, এবার তাঁদের মধ্যেই একটি নতুন আইনি লড়াই শুরু হয়েছে। এই মামলাটি মূলত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ ১০ নম্বরকে কেন্দ্র করে।
এই নতুন মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে দায়ের করা হয়েছে এবং এর পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ই জানুয়ারি, ২০২৫-এ তালিকাভুক্ত হয়েছে। মামলাটি করেছেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস এবং আরও কয়েকজন, যারা নিজেরাও চাকরিহারা শিক্ষক।
মামলার মূল বিষয়বস্তু কী?
চাকরিহারাদের একাংশ, বিশেষ করে যারা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (PG) বা একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক ছিলেন, তাঁরা এই মামলাটি করেছেন। তাঁদের মূল আপত্তি হল, স্কুল সার্ভিস কমিশন নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য যে ১০ নম্বর দিচ্ছে, তার নিয়মাবলী নিয়ে।
মামলাকারীদের দাবি:
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন- নির্দিষ্ট স্তরে অভিজ্ঞতা: তাঁদের মতে, একজন শিক্ষক যে স্তরে (যেমন: নবম-দশম বা একাদশ-দ্বাদশ) এবং যে বিষয়ে শিক্ষকতা করেছেন, শুধুমাত্র সেই স্তরে আবেদন করলেই তাঁর অভিজ্ঞতার ১০ নম্বর পাওয়া উচিত।
- আপত্তির কারণ: কিন্তু বর্তমান নিয়মে, একজন একাদশ-দ্বাদশের শিক্ষকও যদি নবম-দশমের পদের জন্য আবেদন করেন, তিনিও অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পাচ্ছেন। মামলাকারীদের মতে, এটি বেআইনি এবং অযৌক্তিক। তাঁদের যুক্তি, একাদশ-দ্বাদশ স্তরে পড়ানোর অভিজ্ঞতা নবম-দশম স্তরের পদের জন্য গণ্য হওয়া উচিত নয়।
আইনি ভিত্তি এবং যুক্তি
মামলাকারীরা তাঁদের আবেদনের সমর্থনে বেশ কিছু যুক্তি তুলে ধরেছেন। তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশকে হাতিয়ার করছেন যেখানে বলা হয়েছিল যে, চাকরিহারাদের “সর্বোচ্চ সম্ভাব্য সুবিধা” (greatest possible extent) দিতে হবে। তাঁদের মতে, অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিশৃঙ্খলা সেই নির্দেশের পরিপন্থী।
এছাড়াও, তাঁরা ভারতীয় সংবিধানের আর্টিকেল ১৪, ১৬ এবং ২১ লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের মতে, এই নিয়ম “Principle of Natural Justice” বা স্বাভাবিক বিচার নীতির পরিপন্থী, কারণ এটি যোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে সুযোগের সমতা নষ্ট করছে।
বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, যিনি এই মামলার অন্যতম আবেদনকারী, তিনি ইতিহাসের একজন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষক ছিলেন। তাঁর এবং অন্যান্য আবেদনকারীদের মূল বক্তব্য হল, অভিজ্ঞতার নম্বর শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বিষয় এবং নির্দিষ্ট স্তরের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
এই মামলাটি ১০ নম্বর সংক্রান্ত বিতর্ককে আরও জটিল করে তুলেছে। যেখানে একদিকে ফ্রেশাররা এই ১০ নম্বর বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন, অন্যদিকে চাকরিহারারাই এখন নিজেদের মধ্যে এই নম্বর পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছেন। আগামী ১০ই জানুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।
