SSC 2016 Case: বয়সের ছাড় নয়, নতুন নিয়মেই পরীক্ষা! সুপ্রিম কোর্টের রায়ে হতাশ হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী

SSC 2016 Case: কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না এবং রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে নতুন নিয়ম মেনেই পরীক্ষা প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়ের ফলে একদিকে যেমন চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ নতুন করে পরীক্ষার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল, তেমনই বয়সসীমা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন জটিলতা।
আদালতের রায়ের মূল বিষয়বস্তু
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে, যা চাকরিপ্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণে বড় ভূমিকা পালন করবে। আসুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই বিষয়গুলি:
- বয়সসীমার ছাড় নয়: আবেদনকারীদের প্রধান দাবি ছিল, ২০১৬ সালের নিয়ম অনুযায়ী তাদের বয়সসীমার ছাড় দেওয়া হোক। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, ২০২৫ সালের নতুন নিয়ম মেনেই পরীক্ষা হবে এবং সার্বজনীনভাবে বয়সসীমার ছাড় দেওয়া সম্ভব নয়। শুধুমাত্র যোগ্য প্রার্থী এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরাই এই ছাড়ের আওতায় আসবেন।
- মানবিকতার নজির: আদালত মানবিক কারণে সোমা রায় নামে একজন ক্যানসার আক্রান্ত চাকরিপ্রার্থীর চাকরি বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছে, যা এই মামলার একটি ব্যতিক্রমী দিক।
- আবেদন খারিজ: বয়সসীমার ছাড়ের দাবিতে যে আবেদনগুলো করা হয়েছিল, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট উভয়ই তা খারিজ করে দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে যে, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের মূল নির্দেশে সার্বজনীন বয়সসীমার ছাড়ের কোনো কথা বলা হয়নি।
- আদালতের তিরস্কার: বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ বারবার স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করার প্রবণতাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছে। আদালত মনে করে, এই ধরনের অভ্যাস বিচার ব্যবস্থার জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।
চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ এবং নতুন পরীক্ষা
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপর নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব বর্তেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা হলে ২০১৬ সালের অনেক চাকরিপ্রার্থীই বয়সের কারণে পরীক্ষায় বসার সুযোগ হারাবেন, যা তাদের মধ্যে তীব্র হতাশার সৃষ্টি করেছে। তবে আদালত নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ছাড়ের ব্যবস্থা রাখায় কিছু প্রার্থী কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছেন।
এই রায় একদিকে যেমন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার একটি প্রচেষ্টা, তেমনই দীর্ঘদিনের আইনি লড়াইয়ে ক্লান্ত চাকরিপ্রার্থীদের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার কীভাবে এই পরীক্ষা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এবং যোগ্য প্রার্থীরা কবে তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পায়।