SSC Case Hearing: Tainted প্রার্থীদের সুযোগ কেন? নিয়োগ মামলায় আদালতের কড়া প্রশ্ন, পরবর্তী শুনানি কবে?

SSC Case Hearing: পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে ফের গুরুত্বপূর্ণ সওয়াল-জবাব পর্ব অনুষ্ঠিত হলো। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা এবং নিয়মাবলী বা রুলস মানা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠে এসেছে। বিশেষ করে আজকের শুনানিতে আদালতের পক্ষ থেকে ‘Tainted’ বা কলঙ্কিত প্রার্থীদের সুবিধা দেওয়া নিয়ে অত্যন্ত কড়া মনোভাব পোষণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দিষ্ট নির্দেশ থাকার পরেও কেন এবং কীভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করা হচ্ছে, সেই বিষয়েই মূলত আজকের শুনানির গতিপ্রকৃতি আবর্তিত হয়েছে।
নিয়োগ মামলায় বিচারপতির কড়া পর্যবেক্ষণ
আজকের শুনানিতে বিচারপতির মূল প্রশ্ন ছিল নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘Tainted’ প্রার্থীদের অংশগ্রহণ নিয়ে। আদালত সরাসরি জানতে চায়, সুপ্রিম কোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই ধরনের প্রার্থীদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে? নিয়োগের ক্ষেত্রে রুলস ভায়োলেশন বা নিয়ম লঙ্ঘন করে কীভাবে প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।
শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখা সবথেকে জরুরি। সেখানে দাঁড়িয়ে যদি কলঙ্কিত বা অযোগ্য বলে বিবেচিত প্রার্থীরা কোনোভাবে সুবিধাপ্রাপ্ত হন, তবে তা সমগ্র বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়। বিচারপতির এই প্রশ্ন বা পর্যবেক্ষণ রাজ্যের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে আইনি জট তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।
অভিজ্ঞতার নম্বর এবং নতুন রুলসের বৈধতা
আজকের সওয়াল-জবাব পর্বে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল অভিজ্ঞতার নম্বর বা ‘Experience Marks’ যোগ করার সময়কাল। প্রার্থীদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যে নম্বর দেওয়া হয়, তা কোন সময়কাল পর্যন্ত গণ্য হবে এবং নতুন যে রুলস বা নিয়মাবলী তৈরি করা হয়েছে তার আইনি বৈধতা কতটা – এই বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনমামলাকারীদের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তার সওয়াল পেশ করেন। তবে আজকের শুনানিতে তার সওয়াল সম্পূর্ণ হয়নি। তিনি মূলত অভিজ্ঞতার নম্বরের হিসেব এবং নতুন রুলস প্রয়োগের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
মামলার বর্তমান স্থিতি এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলার প্লিডিংস (Pleadings) বা প্রাথমিক সওয়াল-জবাব পর্ব এখনো শেষ হয়নি। আইনি নিয়ম অনুযায়ী, প্লিডিংস শেষ না হওয়া পর্যন্ত আদালত সাধারণত কোনো এফিডেভিট বা হলফনামা তলব করে না। সেই কারণেই আজকের শুনানিতে আদালত এখনই কোনো এফিডেভিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়নি।
মামলার পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি উঠে এসেছে:
- পরবর্তী তারিখ: মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করা হয়েছে আগামী ২ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার।
- সময়: দুপুর ২টোয় শুনানি শুরু হবে।
- কার্যসূচি: প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য তার অসমাপ্ত সওয়াল শেষ করবেন।
আগামী মঙ্গলবার বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের সওয়াল শেষ হওয়ার পর মামলার মোড় কোন দিকে ঘোরে, সেদিকেই তাকিয়ে চাকরিপ্রার্থীরা। বিশেষ করে ওএমআর (OMR) শিট সংক্রান্ত ইস্যু এবং অন্যান্য আইনি জটিলতা নিয়ে পরবর্তী শুনানিতে বিস্তারিত আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের দিনের শুনানিতে মূল ফোকাস ছিল নিয়মের লঙ্ঘন এবং কলঙ্কিত প্রার্থীদের অবস্থান, কিন্তু আগামী দিনে ওএমআর বিকৃতি বা গরমিলের বিষয়টিও অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।