SSC Case: ২৬,০০০ চাকরি বাতিল মামলা: সুপ্রিম কোর্টে প্রকাশ্য শুনানির সম্ভাবনা, চাকরিহারাদের ভাগ্য নির্ধারণ ৫ই আগস্ট

SSC Case: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) এর ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের মামলাটি একটি নতুন মোড় নিয়েছে। এই মামলার রিভিউ পিটিশনের শুনানি অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের প্রকাশ্য আদালতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, যা চাকরিপ্রার্থী এবং রাজ্য সরকারের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে, যা এই মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে সহায়ক হবে।
মামলার মূল বিষয় এবং বর্তমান পরিস্থিতি
এই মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করবে। রাজ্য সরকারের দায়ের করা মূল রিভিউ পিটিশনের ডায়েরি নম্বর ২৩১৯৪/২০২৫ এবং সিভিল আপিলের রিভিউ পিটিশনের নম্বর ১৭২৯/২০২৫। এই মামলায় মোট ১৭২টি রিভিউ পিটিশন যুক্ত হয়েছে, যা এই বিষয়ের গুরুত্ব এবং জটিলতা তুলে ধরে। চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তের পর থেকে রাজ্য সরকার এবং চাকরিপ্রার্থীরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং এই রিভিউ পিটিশনটি তাদের শেষ আশা।
প্রকাশ্য আদালত বনাম চেম্বার শুনানি: পার্থক্য এবং তাৎপর্য
প্রাথমিকভাবে, এই শুনানি চেম্বারে হবে নাকি প্রকাশ্য আদালতে, তা নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা ছিল। চেম্বার শুনানিতে শুধুমাত্র বিচারপতি এবং মামলার সাথে যুক্ত আইনজীবীরা উপস্থিত থাকেন এবং এখানে কোনো মৌখিক শুনানি হয় না। অন্যদিকে, প্রকাশ্য আদালতের শুনানিতে সমস্ত পক্ষ উপস্থিত থাকে এবং তাদের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ পায়, যা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
সুপ্রিম কোর্টের ১লা আগস্ট, ২০২৫ তারিখের একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে ৪ঠা থেকে ৮ই আগস্টের মধ্যে তালিকাভুক্ত চেম্বার মামলাগুলি “শর্ট নোটিশে” শুনানি হতে পারে। এর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, চেম্বার শুনানি হিসেবে তালিকাভুক্ত হলেও, এটি একটি প্রকাশ্য আদালতের শুনানির রূপ নিতে পারে, যেখানে মৌখিক যুক্তি-তর্ক পেশ করার সুযোগ থাকবে। যদিও এসএসসি মামলাটি অগ্রিম তালিকায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, তবুও এই বিজ্ঞপ্তিটি একটি প্রকাশ্য শুনানির সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভবিষ্যতের দিকে নজর
আগামী ৫ই আগস্ট, ২০২৫ তারিখে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এই শুনানিটিই নির্ধারণ করবে যে ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ কী হবে। যদি শুনানি প্রকাশ্য আদালতে হয়, তবে সমস্ত পক্ষের কাছে তাদের যুক্তি পেশ করার এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার একটি বড় সুযোগ থাকবে। রাজ্য সরকার এবং চাকরিপ্রার্থীরা উভয়েই আশাবাদী যে সুপ্রিম কোর্ট তাদের আবেদন বিবেচনা করবে এবং একটি ইতিবাচক রায় দেবে। এখন সকলের নজর সুপ্রিম কোর্টের দিকে, যেখানে এই ঐতিহাসিক মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মামলার প্রতিটি আপডেট আমরা আপনাদের কাছে পৌঁছে দেব।