SSC Case Update: আজ সুপ্রিম কোর্টে আর একটি এসএসসি মামলার শুনানি, শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ

SSC Case Update: পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি আজ ভারতের সুপ্রিম কোর্টে হতে চলেছে। বিবেক পারিয়া বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের এই মামলাটি (ডায়েরি নম্বর: ৪৬০৪৯/২০২৫) বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে ১৭ নম্বর সিরিয়ালে তালিকাভুক্ত হয়েছে। এই মামলার দিকে তাকিয়ে আছেন রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী, কারণ এর রায়ের ওপর নির্ভর করছে তাদের ভবিষ্যৎ।
মামলার মূল বিষয়
এই মামলাটি মূলত কলকাতা হাইকোর্টের একাধিক রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারীদের প্রধান অভিযোগগুলি হল:
- যোগ্যতার মানদণ্ড পরিবর্তন: ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিরত প্রার্থীদের জন্য ন্যূনতম যোগ্যতার নম্বর ৪৫% থেকে বাড়িয়ে ৫০% করা হয়েছিল। মামলাকারীদের মতে, এই পরিবর্তনটি ছিল একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে অনেক প্রার্থী বঞ্চিত হয়েছেন।
- শূন্যপদ হ্রাস: মামলাকারীরা অভিযোগ করেছেন যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সময় শূন্যপদের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও স্কুল সার্ভিস কমিশন এই বিষয়ে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে, মামলাকারীরা মনে করছেন যে এর ফলে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
এর আগে কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল, যেগুলিকে ভিত্তি করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। হাইকোর্ট বলেছিল:
- যোগ্যতার মানদণ্ড পরিবর্তন একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং আদালত এতে হস্তক্ষেপ করতে পারে না, যদি না সেই নীতি স্বেচ্ছাচারী হয়।
- শূন্যপদ কমানোর অভিযোগের সপক্ষে মামলাকারীরা যথেষ্ট প্রমাণ দিতে পারেননি।
- বিশেষজ্ঞ কমিটির আলোচনার পরেই শূন্যপদ, পদের পরিবর্তন বা যোগ্যতার মানদণ্ড নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
- জাতীয় শিক্ষক শিক্ষা পরিষদের (NCTE) নির্দেশিকা মেনেই যোগ্যতার মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছিল।
- শিক্ষকদের ঘাটতির কারণে হাইকোর্ট শিক্ষকদের ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, তবে এটি তাদের কোনো বিশেষ অধিকার দেয় না এবং তাদের নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ফিরে আসতে হবে।
আজকের শুনানির গুরুত্ব
আজকের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেবে যে কলকাতা হাইকোর্টের রায়গুলি বহাল থাকবে, নাকি মামলাকারীদের আবেদন গ্রহণ করে যোগ্যতার মানদণ্ড ৪৫% ফিরিয়ে আনা হবে। যদি সুপ্রিম কোর্ট মামলাকারীদের পক্ষে রায় দেয়, তাহলে অনেক চাকরিপ্রার্থীর জন্য নতুন করে চাকরির সুযোগ তৈরি হতে পারে। অন্যদিকে, যদি হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে, তাহলে বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং যোগ্যতার মানদণ্ডই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় প্রভাব ফেলবে। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট কোন দিকে রায় দেয় এবং রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ কোন পথে চালিত হয়।