SSC OMR Sheet Case: আজ সুপ্রিম কোর্টে ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ, ২২ লক্ষ OMR শিট মামলার শুনানি

SSC OMR Sheet Case: ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রায় ২২ লক্ষ ওএমআর শিট প্রকাশের মামলাটি এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছে, যা পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২৬,০০০ চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারে। এই মামলার শুনানি আগামী ২৫শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে মাননীয় বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি সতীশ চন্দ্র শর্মার বেঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে।
মামলার পটভূমি এবং মূল বিষয়গুলি
এই মামলাটি মূলত দুটি পৃথক আবেদনের সাথে যুক্ত। প্রথমটি, ডায়েরি নম্বর ৩২৪০৮/২০২৫, যেখানে সুমন বিশ্বাস বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার প্রধান আবেদনকারী। এই আবেদনটি ২০২৫ সালের ১০ই জুন দায়ের করা হয়েছিল। দ্বিতীয়টি, ডায়েরি নম্বর ৩০৩০৩/২০২৫, যেখানে সুমন বিশ্বাস বনাম ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া আবেদনকারী এবং এটি ২০২৫ সালের ২৭শে মে দায়ের করা হয়। এই দুটি মামলাই এখন একসাথে শোনা হবে।
সিবিআই-এর ভূমিকা
এই মামলায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)-কে একটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট এর আগে সিবিআই-কে এই ২২ লক্ষ ওএমআর শিট উদ্ধার এবং তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল। এই ওএমআর শিটগুলি তিনটি হার্ড ড্রাইভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এর সত্যতা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। সুপ্রিম কোর্ট এই ওএমআর শিটগুলির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এবং সিবিআই-এর শংসাপত্র এই মামলার নিষ্পত্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদি সিবিআই এই শিটগুলির সত্যতা প্রমাণ করতে পারে, তবে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করা সম্ভব হবে, যা চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়াটিকে আরও স্বচ্ছ করে তুলবে।
শুনানির সময়সূচী এবং প্রত্যাশা
সুপ্রিম কোর্টে এই মামলাটি কোর্ট নম্বর ১৪-এ সিরিয়াল নম্বর ১৭ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছে এবং শুনানিটি আজ ২৫শে জুলাই, ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। আশা করা হচ্ছে যে, ওই দিন দুপুর ২টোর মধ্যেই শুনানি শেষ হয়ে যাবে। আবেদনকারীরা একটি স্থগিতাদেশের আবেদনও করেছেন যাতে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়।
ভবিষ্যৎ এবং প্রভাব
এই শুনানির ফলাফল অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী হতে পারে। যদি আদালত ওএমআর শিট প্রকাশের পক্ষে রায় দেয়, তবে যোগ্য প্রার্থীরা তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার একটি নতুন সুযোগ পাবেন। অন্যদিকে, যদি শিটগুলির সত্যতা প্রমাণ করা না যায়, তবে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই আরও জটিলতার মধ্যে পড়বে। এই মামলার দিকে তাকিয়ে রয়েছে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী এবং তাদের পরিবার। আগামী ২৫শে জুলাইয়ের শুনানিই ঠিক করে দেবে তাদের ভবিষ্যৎ কোন পথে এগোবে।