SSC Teacher Recruitment: শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নিয়ে কী জানাল SSC? জানুন বিস্তারিত

SSC Teacher Recruitment: আজ রাজ্য জুড়ে অনুষ্ঠিত হলো স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)-এর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর, SSC-এর পক্ষ থেকে পরীক্ষার বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়। এই পরীক্ষা এবং তার ফলাফল নিয়ে রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ জড়িয়ে আছে। তাই, আজকের এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সকলের মধ্যেই ছিল ব্যাপক আগ্রহ।
পরীক্ষার খুঁটিনাটি: SSC-র বয়ান
SSC-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বারের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। SSC-র ঘোষণায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে, যা নীচে তুলে ধরা হলো:
- উপস্থিতির হার: এ বারের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ছিল চোখে পড়ার মতো। মোট নথিভুক্ত পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯১ শতাংশই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। মাত্র ৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। এই বিপুল সংখ্যক পরীক্ষার্থীর উপস্থিতি প্রমাণ করে যে, চাকরির বাজারে এই পরীক্ষার গুরুত্ব কতটা।
- মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা: নবম এবং দশম শ্রেণীর শিক্ষক পদের জন্য মোট ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৯১৯ জন আবেদন করেছিলেন। তার মধ্যে ৯১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় বসেছেন।
- অন্যান্য রাজ্যের পরীক্ষার্থী: উল্লেখযোগ্যভাবে, এ বারের পরীক্ষায় পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অন্যান্য রাজ্য থেকেও পরীক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য থেকে প্রায় ৩১,০০০ পরীক্ষার্থী এই পরীক্ষায় বসেছেন।
- পরীক্ষা পরিচালনা: SSC-এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, পরীক্ষা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এবং কোনও রকম সমস্যা ছাড়াই পরিচালিত হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে কড়া নিরাপত্তা এবং নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
- OMR শিট সংগ্রহ: পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই OMR শিট সংগ্রহের কাজ শুরু হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই OMR শিট পৌঁছে গিয়েছে কমিশনে।
দুপুর ১:৩০ মিনিটে পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই SSC-এর পক্ষ থেকে এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। এই পরীক্ষার ফলাফল কবে প্রকাশিত হবে, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তবে, পরীক্ষার্থীদের আশা, খুব শীঘ্রই ফলাফল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য এই নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই পরীক্ষার মাধ্যমে রাজ্যের স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অভাব পূরণ হবে এবং শিক্ষার মান উন্নত হবে বলে আশা করা যায়।