SSC Teachers: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পরামর্শে নতুন মোড়, পুরসভার ভূমিকায় বিতর্ক

SSC Teachers: রাজ্যের চাকরিহারা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের প্রতিবাদ মঞ্চ নিয়ে আবার নতুন করে তৎপরতা শুরু হয়েছে। একদিকে যেমন এই শিক্ষকেরা বিজেপির সাংসদ তথা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আইনি পরামর্শ নিয়েছেন, তেমনই বিধাননগর পৌরসভাও তাদের ধর্নামঞ্চের জন্য নতুন করে পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু করেছে। তবে পৌরসভার দেওয়া জায়গা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে অসন্তোষ রয়েছে।
সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও আইনি পরামর্শ
শনিবার চাকরিপ্রার্থী আন্দোলনকারী শিক্ষকদের এক প্রতিনিধি দল বিজেপির সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। দীর্ঘক্ষণ তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। আন্দোলনকারীরা তাঁদের বঞ্চনা এবং আইনি লড়াইয়ের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সূত্রের খবর, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, এই বিষয়ে তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এই বৈঠকের পর আন্দোলনকারীরা নতুন করে আইনি পথে আশার আলো দেখছেন।
বিধাননগর পৌরসভার তৎপরতা ও বিতর্ক
অন্যদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বিধাননগর পৌরসভা আন্দোলনকারী শিক্ষকদের জন্য ধর্নামঞ্চ তৈরির কাজ শুরু করেছে। সল্টলেক সেন্ট্রাল পার্কের কাছে এই মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে। বাঁশ, ত্রিপল ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে পুরকর্মীরা কাজ শুরু করলেও, এই স্থান নিয়ে খুশি নন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের একাংশের মতে, এই জায়গাটি মূল রাস্তার থেকে কিছুটা দূরে এবং অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ। তাঁদের আশঙ্কা, এর ফলে তাঁদের প্রতিবাদের স্বর সাধারণ মানুষ এবং প্রশাসনের কাছে সেভাবে পৌঁছবে না। উল্লেখ্য, এর আগেও পৌরসভা একটি জায়গা দিলেও সেটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
আন্দোলনকারীদের পরবর্তী পদক্ষেপ
পৌরসভার দেওয়া নতুন জায়গা নিয়ে অসন্তোষ থাকলেও, আন্দোলনকারীরা তাঁদের প্রতিবাদ চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর। আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি তাঁরা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গেও দেখা করার জন্য সময় চেয়েছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের মূল দাবিগুলির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা যে এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, সে বিষয়ে তাঁরা স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। আপাতত তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং একইসঙ্গে বিকল্প কোনও উপযুক্ত জায়গায় ধর্নামঞ্চ সরানোর জন্যও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চাইছেন।
সব মিলিয়ে, চাকরিপ্রার্থী শিক্ষকদের এই আন্দোলন এক নতুন মোড় নিয়েছে। একদিকে যেমন আইনি পরামর্শে নতুন দিশা পাওয়ার চেষ্টা চলছে, তেমনই ধর্নামঞ্চের স্থান নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক। আগামী দিনে এই পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। এই ঘটনাক্রম রাজ্যের শিক্ষা এবং প্রশাসনিক মহলে নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।