SSC Teachers: আমরণ অনশনে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকরা, ন্যায্যতার দাবিতে উত্তাল

SSC Teachers: পশ্চিমবঙ্গে চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের আন্দোলন এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। ন্যায্যতার দাবিতে এবার আমরণ অনশনে বসেছেন একদল শিক্ষক। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এই অনশন শুরু হয়েছে, যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ছয়জন পুরুষ এবং ছয়জন মহিলা শিক্ষক অংশ নিয়েছেন। “যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চ” জানিয়েছে যে এসএসসি চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠক নিষ্ফল হওয়ায় তারা এই চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
শিক্ষকদের মূল দাবিগুলো কী কী?
আন্দোলনকারী শিক্ষকরা তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে সোচ্চার। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো:
- যতদিন না রিভিউ পিটিশন এবং কিউরেটিভ পিটিশনের নিষ্পত্তি হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত কোনো ফর্ম ফিলাপ বা পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।
- যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা এবং ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে।
- রি-প্যানেলিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
- এসএসসি-কে যোগ্য প্রার্থীদের একটি যাচাইকৃত তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
- আগামী ১৬ই জুন থেকে শুরু হতে চলা অনলাইন ফর্ম ফিলাপের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে হবে।
- বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের একটি তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
দুর্নীতির অভিযোগ এবং অবিচারের আশঙ্কা
শিক্ষকদের অভিযোগ, আবারও তাড়াহুড়ো করে ফর্ম ফিলাপের প্রক্রিয়া শুরু করার চেষ্টা চলছে, যা আরও বড় দুর্নীতির পথ প্রশস্ত করবে। তাদের মতে, যারা দুর্নীতির জন্য দায়ী, তাদের শাস্তি না দিয়ে নিরপরাধ শিক্ষকদের বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে। এক আন্দোলনকারী শিক্ষক বলেন, “যারা বছরের পর বছর ধরে চাকরির জন্য অপেক্ষা করছেন, পরীক্ষা তাদের জন্য হওয়া উচিত। আমাদের মতো কর্মরতদের কেন অন্যদের ভুলের জন্য আবার পরীক্ষায় বসতে হবে?”
শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যের সাথে মতবিরোধ
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষামন্ত্রী দাবি করেছেন যে, অধিকাংশ শিক্ষকই পরীক্ষায় বসতে রাজি। কিন্তু “যোগ্য শিক্ষক অধিকার মঞ্চ”-এর প্রতিনিধিরা এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন যে, তাদের কোনো সদস্য এমন ইচ্ছাপ্রকাশ করেননি। তারা শিক্ষামন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেছেন, যদি সত্যিই বহু শিক্ষক পরীক্ষায় বসতে চান, তাহলে তাদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হোক।
এই পরিস্থিতিতে, চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ এক গভীর অনিশ্চয়তার মুখে। তাদের এই অনশন বিক্ষোভ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় এক নতুন সংকট তৈরি করেছে, যার সমাধান এখন সময়ের অপেক্ষা।