শিক্ষা

SSC Teaching Experience: SSC-র বিরাট পদক্ষেপ! হাইকোর্টের নির্দেশে ১০ নম্বর পেতে কারা ডাক পেলেন? সম্পূর্ণ তালিকা দেখুন

SSC Teaching Experience: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের মেনে, বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থীকে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে আজ ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৫ তারিখে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন। নির্দিষ্ট প্রার্থীদের তাঁদের নথি যাচাই বা ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়েছে।

এই পদক্ষেপটি চাকরিপ্রার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই ১০ নম্বর মেধা তালিকায় বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে।

মামলার প্রেক্ষাপট

এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ের উপর ভিত্তি করে। সূত্র অনুযায়ী, মাননীয় বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চ থেকে ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ এবং ১৪ই অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে এই সমস্ত প্রার্থীদের পক্ষে একটি নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের ভিত্তিতেই কমিশন এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।

প্রাথমিকভাবে, আবেদন করার সময় নির্দিষ্ট অপশন না থাকায় বা ভুল তথ্য দেওয়ার ভয়ে অনেক অভিজ্ঞ প্রার্থী তাদের চাকরির বিবরণ দেননি। পরে তারা আদালতের দ্বারস্থ হন এবং সিঙ্গল বেঞ্চ তাদের পক্ষে রায় দেয়। কমিশন এই রায়কে ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করলেও, অবশেষে বিচারপতিরা প্রার্থীদের পক্ষেই সম্মতি দিয়েছেন।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

কাদের ভেরিফিকেশনের জন্য ডাকা হয়েছে?

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নির্দিষ্ট মামলাকারী প্রার্থীদের ৬ই নভেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১ টায় আচার্য সদনে (বিধাননগর, সেক্টর – II) প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি-সহ উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। যদি যাচাইয়ের পর প্রমাণ হয় যে তারা সাবস্টেন্টিভ পদে চাকরি করেছেন, তবে প্রতি বছরের অভিজ্ঞতার জন্য ২ নম্বর করে, সর্বোচ্চ ১০ নম্বর পাবেন।

সম্পূর্ণ তালিকা এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।

ডিভিশন বেঞ্চের শুনানি ও বৃহত্তর প্রভাব

সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে কমিশন ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিল। সেখানে কমিশনের পক্ষে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিশনের যুক্তি ছিল, আবেদনকারীরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন না করে দু’মাস পরে কেন আদালতের দ্বারস্থ হলেন।

অন্যদিকে, আবেদনকারীদের দাবি ছিল যে আবেদনপত্রে অভিজ্ঞতার তথ্য দেওয়ার কোনো নির্দিষ্ট অপশন ছিল না এবং ভুল তথ্যের কারণে আবেদনপত্র বাতিলের ভয় ছিল। দীর্ঘ শুনানির পর ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দেয়।

এই ঘটনাটির একটি বৃহত্তর প্রভাবও রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ২৫০০ প্রার্থী যারা কেন্দ্রীয় সরকারি স্কুল (যেমন নবোদয় বিদ্যালয়, আর্মি স্কুল) থেকে এসেছেন, তারাও অভিজ্ঞতার নম্বরের জন্য আবেদন করেছেন। যদি এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থী অতিরিক্ত ১০ নম্বর পেয়ে যান, তবে চাকরির প্রতিযোগিতা যে আরও কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button