Teacher Recruitment Scam: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি! প্যানেল থেকে সংরক্ষণ, উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!

Teacher Recruitment Scam: কলকাতা: ৩২,০০০ চাকরিপ্রার্থীর ভাগ্য এখন ঝুলে রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের একটি বিশেষ বেঞ্চের রায়ের উপর। ২০১৬ সালের প্যানেল এবং ২০১৭ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলার শুনানি চলছে বিচারপতি তপ্তব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে। এই মামলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
মামলার মূল অভিযোগগুলি কী কী?
আবেদনকারীদের পক্ষের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি আদালতে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে সওয়াল করেন। তাঁর বক্তব্যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার একাধিক গুরুতর অসঙ্গতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। প্রধান অভিযোগগুলি হল:
- প্যানেল তৈরিতে অনিয়ম: অভিযোগ করা হয়েছে যে, নিয়োগের জন্য কোনও সঠিক প্যানেল তৈরি করা হয়নি। পরিবর্তে, এস. বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি নামে একটি তৃতীয় পক্ষের সংস্থাকে প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, যা সম্পূর্ণ নিয়মবিরুদ্ধ।
- সংরক্ষণ নীতি লঙ্ঘন: মামলার অন্যতম গুরুতর অভিযোগ হল সংরক্ষণ নীতির চূড়ান্ত অবমাননা। মেধাবী সংরক্ষিত আসনের প্রার্থীরা সাধারণ আসনে সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ, যা সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী।
- অ্যাপটিটিউড টেস্টে গরমিল: প্রায় ২,০০০ প্রার্থীর ভাইভা এবং অ্যাপটিটিউড টেস্টে একই নম্বর পাওয়াকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়েছে। কীভাবে এতজন প্রার্থীর নম্বর হুবহু এক হতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
- প্যারা-টিচারদের নম্বরে অনিয়ম: প্যারা-টিচারদের ক্ষেত্রে নম্বরের হিসাবে ফ্র্যাকশন বা ভগ্নাংশ ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিয়োগের नियমাবলীর পরিপন্থী।
- শূন্যপদের চেয়ে বেশি নিয়োগ: আইনজীবীরা আদালতে জানিয়েছেন যে, উপলব্ধ শূন্যপদের চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয়েছে, যা এই দুর্নীতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
আইনজীবীর বক্তব্য ও মামলার ভবিষ্যৎ
তরুণজ্যোতি তিওয়ারি জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য কোনও ব্যক্তির চাকরি কেড়ে নেওয়া নয়, বরং যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি সুনিশ্চিত করা এবং অযোগ্যদের চিহ্নিত করা। আদালতে নিজের যুক্তিতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এখনও একাধিক বর্ষীয়ান আইনজীবীর সওয়াল বাকি রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দুর্গাপূজার ছুটির আগেই এই মামলার শুনানি শেষ হবে এবং ছুটির পর রায় ঘোষণা হতে পারে। ৩২,০০০ চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ কী হবে, সেই উত্তর এখন সময়ের অপেক্ষা।