Teacher TET Case: টেট রায় কি বদলে যাবে? পয়লা সেপ্টেম্বরের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এই দুটি বড় সংস্থা!

Teacher TET Case: সম্প্রতি পয়লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (টেট) সংক্রান্ত সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়কে কেন্দ্র করে সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। এই রায়ের প্রভাব এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একাধিক রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। যে তথ্য সামনে এসেছে, তা অনুযায়ী অন্তত দুটি বড় সংস্থা এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছে, যা টেট চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে আশা ও আশঙ্কার জন্ম দিয়েছে। এই পিটিশনগুলি টেট প্রক্রিয়ার ভবিষ্যৎকে কোন দিকে নিয়ে যাবে, তা নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে। আসুন, এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেওয়া যাক।
দুটি নিশ্চিত রিভিউ পিটিশন
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে নথিভুক্ত তথ্য অনুযায়ী, পয়লা সেপ্টেম্বরের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এখনও পর্যন্ত দুটি রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিটি পিটিশনের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে এবং ভিন্ন ভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করছে।
- অল ইন্ডিয়া প্রাইমারি টিচার্স ফেডারেশন: প্রথম রিভিউ পিটিশনটি দাখিল করেছে শিক্ষকদের সর্বভারতীয় সংগঠন, অল ইন্ডিয়া প্রাইমারি টিচার্স ফেডারেশন। ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই পিটিশনটি সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা হয়। ফেডারেশনের এই পদক্ষেপ জাতীয় স্তরে টেট রায় নিয়ে শিক্ষকদের উদ্বেগের প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁরা পয়লা সেপ্টেম্বরের রায়ের নির্দিষ্ট কিছু বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করে এই আবেদন করেছেন।
- উত্তরপ্রদেশ সরকার: দ্বিতীয় এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রিভিউ পিটিশনটি দাখিল করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এই মামলাটি করা হয়েছে অঞ্জুমাম ইসাদি তালিম ট্রাস্টের বিরুদ্ধে, যারা সুপ্রিম কোর্টের মূল মামলার অন্যতম আবেদনকারী ছিল। ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে উত্তরপ্রদেশ সরকার এই পিটিশন দাখিল করে। দেশের অন্যতম বৃহৎ একটি রাজ্যের সরকার যখন সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানায়, তখন তার গুরুত্ব স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেড়ে যায়। এই পদক্ষেপটি প্রমাণ করে যে রাজ্য সরকার টেট সংক্রান্ত রায় নিয়ে তাদের অবস্থানে স্থির এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে প্রস্তুত।
একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট
উত্তরপ্রদেশ সরকারের দাখিল করা মামলার প্রেক্ষিতে একটি নতুন এবং তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে এই মামলায় একজন ব্যক্তি বা সংস্থা হস্তক্ষেপ বা পক্ষভুক্ত (Intervention/Impleadment) হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছে। একই দিনে তাঁর পক্ষ থেকে ওকালতনামা দাখিল করা হয়েছে। যদিও আবেদনকারীর পরিচয় বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তবে এই পদক্ষেপ মামলাটিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এর অর্থ হলো, মূল মামলার পক্ষগুলি ছাড়াও অন্য কোনো পক্ষ এই আইনি লড়াইয়ে সরাসরি অংশ নিতে চাইছে, যা মামলার গতিপ্রকৃতিকে প্রভাবিত করতে পারে।
ভবিষ্যৎ কোন পথে?
আপাতত, এই দুটি রিভিউ পিটিশন অফিসিয়ালি নথিভুক্ত হয়েছে। এর বাইরেও আরও কিছু রাজ্য বা সংস্থা রিভিউ পিটিশন দাখিল করতে পারে বলে শোনা গেলেও, সেই সংক্রান্ত কোনো নিশ্চিত তথ্য এখনও সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ডে আসেনি। এই রিভিউ পিটিশনগুলির শুনানি কবে হবে এবং সর্বোচ্চ আদালত এই আবেদনগুলি গ্রহণ করবে কিনা, তার উপরেই টেট চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ অনেকাংশে নির্ভর করছে। যদি আদালত আবেদন গ্রহণ করে পুনরায় শুনানির সিদ্ধান্ত নেয়, তবে পয়লা সেপ্টেম্বরের রায়ে পরিবর্তন আসার একটি সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। সমস্ত আপডেট এবং সঠিক তথ্যের জন্য আমাদের নজর থাকবে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে।