TET Mandatory Case: বড় খবর! টেট বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে খারিজ, কেন এই নির্দেশ? জানুন বিস্তারিত
TET Mandatory Case: শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টেট (TET) বা শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষার আবশ্যিকতা নিয়ে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মামলা খারিজ করে দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ সুপ্রিম কোর্টের ৭ নম্বর কোর্টে বিচারপতি পি.এস. নরসিমা এবং বিচারপতি অতুল এস. চন্দ্রুরকার-এর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালত মামলাটি সরাসরি ‘ডিসমিস’ বা খারিজ করার নির্দেশ দিয়েছে, যা শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সকলের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য খবর।
এই রায়দানের ফলে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে টেট-এর গুরুত্ব অপরিবর্তিত রইল। মামলাটি উত্তরপ্রদেশের একটি শিক্ষক সংগঠন দায়ের করেছিল, যেখানে টেট বাধ্যতামূলক করার নির্দেশিকার বিরোধিতা করা হয়েছিল।
মামলার বিস্তারিত প্রেক্ষাপট
উত্তরপ্রদেশের ‘ইউনাইটেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (UTA) দ্বারা দায়ের করা এই রিট পিটিশনে শিক্ষক পদের জন্য টেট বাধ্যতামূলক করার নিয়মকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। এই মামলায় কেন্দ্র সরকার, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE) এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্যকে প্রতিপক্ষ হিসেবে রাখা হয়েছিল। মামলার মূল উদ্দেশ্য ছিল টেট বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্তটির পর্যালোচনা করা।
নিচে মামলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি একটি টেবিলের মাধ্যমে তুলে ধরা হলো:
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হন| মামলার ধরণ | রিট পিটিশন (সিভিল) |
|---|---|
| পিটিশনার | ইউনাইটেড টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (UTA), উত্তরপ্রদেশ |
| রেসপন্ডেন্ট | ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া (Union of India), NCTE এবং উত্তরপ্রদেশ রাজ্য |
| ডায়রি নম্বর | ৫৫৬৩৬/২০২৫ (55636/2025) |
| শুনানির বেঞ্চ | বিচারপতি পি.এস. নরসিমা এবং বিচারপতি অতুল এস. চন্দ্রুরকার |
কেন খারিজ হল এই মামলা?
সুপ্রিম কোর্টের প্রকাশিত নির্দেশনামা অনুযায়ী, মামলাটি খারিজ হওয়ার প্রধান কারণ হলো বিলম্ব (Delay)। মামলাকারীরা আদালতের কাছে আবেদন জানাতে দেরি করে ফেলেছিলেন। এই বিলম্বের কারণে (Delay Condoned issues) আদালত মামলাটি গ্রহণ বা এন্টারটেইন করার প্রয়োজন মনে করেনি।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিচে উল্লেখ করা হলো:
- মামলাটি ‘ফ্রেশ অ্যাডমিশন’ বা নতুন করে গ্রহণের জন্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।
- দুই বিচারপতির বেঞ্চ মামলাটি শোনার পরেই তা খারিজ বা ‘ডিসমিস’ (Dismissed) করে দেয়।
- এই মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত অন্তর্বর্তীকালীন আবেদন বা ‘ইন্টারলকিউটরি অ্যাপ্লিকেশন’ (IA)-ও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
মামলার ফলাফল ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
এই রায়ের ফলে আবেদনকারী শিক্ষক সংগঠনটি আপাতত কোনো আইনি সুরাহা পেল না। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে, মামলাটি দেরিতে ফাইল করার কারণে তা শোনার যোগ্য নয়। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই নির্দিষ্ট মামলাটি খারিজ হলেও, টেট বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য মূল মামলা বা রিভিউ পিটিশন ভবিষ্যতে আদালতে উঠতে পারে। সেইসব ক্ষেত্রে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আদালতের পূর্ণাঙ্গ অর্ডার কপি প্রকাশিত হলে এই খারিজের পিছনে থাকা আইনি কারণগুলি আরও পরিষ্কারভাবে জানা যাবে।