TET Data Leak: অবশেষে ধরা পড়ল টেট তথ্য ফাঁসের মূল চক্রী! কে করল এই কাজ? পর্ষদ যা জানাল

TET Data Leak: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম একটি অচেনা ওয়েবসাইটে ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি ও উদ্বেগের সৃষ্টি হলেও, পর্ষদ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে, এই ঘটনার পিছনে কে বা কারা জড়িত, তা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মূল ঘটনাটি কী?
সম্প্রতি, একটি অচেনা ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়, যা নিয়ে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। যেহেতু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ আনুষ্ঠানিকভাবে সফল প্রার্থীদের কোনো সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেনি, তাই এই ঘটনাটি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। পরীক্ষার্থীরা শুধুমাত্র নিজেদের রোল নম্বর দিয়ে পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ফলাফল দেখতে পেয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে, একটি সম্পূর্ণ তালিকা কীভাবে ফাঁস হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, পর্ষদের ডেটাবেস সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রয়েছে এবং সেখান থেকে কোনো তথ্য ফাঁস হয়নি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি পরীক্ষার্থীর তথ্য সুরক্ষিত আছে এবং এই বিষয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই।
কীভাবে ফাঁস হলো তথ্য?
পর্ষদের এক আধিকারিকের মতে, ফলাফল প্রকাশের পর কয়েক মাস ধরে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের তথ্য ডাউনলোড করার সুযোগ পেয়েছিলেন। সেই সময় কিউআর কোড (QR Code) স্ক্যান করে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল। অনুমান করা হচ্ছে যে, সেই সময়ই কোনোভাবে এই তথ্য সংগ্রহ করে পরে তা একত্রিত করে ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। পর্ষদ এই ঘটনাকে তাদের এবং রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার একটি ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
পর্ষদের পদক্ষেপ
- অভিযুক্তকে চিহ্নিতকরণ: পর্ষদ ইতিমধ্যেই এই তথ্য ফাঁসের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে।
- আইনি ব্যবস্থা: অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিধাননগর পূর্ব থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
- পরীক্ষার্থীদের আশ্বাস: পর্ষদ সভাপতি সমস্ত পরীক্ষার্থীকে আশ্বস্ত করে বলেছেন যে তাদের তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত এবং এই ঘটনায় তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এই ঘটনাটি আবারও ডেটা সুরক্ষা এবং গোপনীয়তার গুরুত্ব তুলে ধরেছে। যদিও পর্ষদ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছে, তবে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। পর্ষদের স্বচ্ছতা এবং দ্রুত পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য, এবং এখন দেখার বিষয় হলো আইনি প্রক্রিয়া কীভাবে এগোয়।