Utshashree Portal: শিক্ষকদের জন্য সুখবর! অবশেষে খুলল উৎসশ্রী পোর্টালে ট্রান্সফারের আবেদন

Utshashree Portal: অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যা রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য বড়সড় স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে। ২৩শে জুলাই তারিখে জারি করা এই বিজ্ঞপ্তিতে, উৎসশ্রী পোর্টালে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন প্রক্রিয়া পুনরায় চালু করার কথা বলা হয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে, যে সমস্ত শিক্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তাদের জন্য নতুন করে আশার আলো দেখা দিয়েছে।
মূল বিষয়:
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে সকল ডিপিএসসি চেয়ারম্যানদের উদ্দেশ্যে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, প্রাথমিক শিক্ষকদের মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য করা আবেদনগুলি, যা এতদিন ধরে বিভিন্ন জটিলতার কারণে আটকে ছিল, সেগুলি আনলক করে আবেদনকারীদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে, আবেদনকারী শিক্ষকরা এখন তাদের আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় সংশোধনের সুযোগ পাবেন।
শিক্ষকদের করণীয়:
এই নতুন সুযোগের সদ্ব্যবহার করার জন্য, আবেদনকারী শিক্ষকদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পর্ষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী:
- কনফারমেশন অর্ডার আপলোড: আবেদনকারীদের নিজ নিজ ডিপিএসসি থেকে প্রাপ্ত কনফারমেশন অর্ডারের কপি আপলোড করতে হবে। এটি একটি বাধ্যতামূলক পদক্ষেপ এবং এর মাধ্যমেই আবেদন প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
- প্রয়োজনীয় সংশোধন: আবেদনকারীরা তাদের আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন বা সংশোধন করতে পারবেন। যদি কোনো তথ্য ভুল থাকে বা নতুন কোনো তথ্য যোগ করার প্রয়োজন হয়, তবে এই পর্যায়ে তা করা যাবে।
- চূড়ান্ত জমা: সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য এবং নথি আপলোড করার পর, আবেদনকারীরা তাদের আবেদন চূড়ান্তভাবে জমা দিতে পারবেন।
জটিলতার অবসান:
এর আগে, উৎসশ্রী পোর্টালে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন প্রক্রিয়াটি একটি প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অনেক শিক্ষক আবেদন করেও কোনো সদুত্তর পাচ্ছিলেন না, ফলে তাদের মধ্যে এক প্রকারের হতাশা তৈরি হয়েছিল। পর্ষদের এই নতুন পদক্ষেপে সেই জটিলতার অবসান ঘটল এবং পুরো প্রক্রিয়াটি আবার সচল হলো। এটি নিঃসন্দেহে এক বড় সাফল্য এবং শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের সমস্যার একটি সুরাহা।
এই পদক্ষেপের ফলে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষকরা তাদের বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে বদলি হতে পারলে, তাদের মানসিক চাপ কমবে এবং তারা আরও ভালোভাবে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে পারবেন। এর ফলে, রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষার মানও উন্নত হবে।