Voter Card Verification: ভোটার কার্ড থাকলেই হবে না, এখন দিতে হবে নাগরিকত্বের প্রমাণ! জানুন নতুন নিয়ম

Voter Card Verification: ভারতের নির্বাচন কমিশন (ECI) ভোটার কার্ড যাচাইকরণের জন্য একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম চালু করেছে, যার অধীনে নাগরিকদের এখন থেকে তাদের ভারতীয় জাতীয়তা প্রমাণ করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি বর্তমানে বিহারে শুরু হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গসহ সারা দেশে এটি কার্যকর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই নতুন নিয়মাবলীর মূল উদ্দেশ্য হলো ভোটার তালিকা থেকে অযোগ্য ভোটার, বিশেষ করে অবৈধ অভিবাসীদের বাদ দেওয়া এবং একটি স্বচ্ছ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করা।
নতুন যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার মূল বিষয়গুলি:
এই নতুন যাচাইকরণ প্রক্রিয়ার জন্য, প্রত্যেক নাগরিককে তাদের জন্ম তারিখের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট কিছু নথি জমা দিতে হবে। এই প্রক্রিয়াটি মূলত অফলাইনে একটি ফর্ম পূরণের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হবে, যা আপনার এলাকার বুথ লেভেল অফিসার (BLO) বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিতরণ করবেন।
- ফর্ম পূরণ: আবেদনকারীকে একটি নির্দিষ্ট ফর্মে নিজের নাম, ভোটার আইডি নম্বর, ঠিকানা, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পূরণ করতে হবে।
- নথি জমা: জন্ম তারিখ অনুযায়ী, আপনাকে নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে:
- যারা ১ জুলাই, ১৯৮৭ এর আগে ভারতে জন্মগ্রহণ করেছেন: তাদের জন্য শুধুমাত্র নিজের জন্ম বা জন্মস্থানের প্রমাণপত্রই যথেষ্ট।
- অ-ভারতীয় পিতামাতা: যদি বাবা বা মায়ের মধ্যে কেউ ভারতীয় না হন, তবে আবেদনকারীর জন্মের সময় তাদের বৈধ পাসপোর্ট এবং ভিসার একটি অনুলিপি জমা দিতে হবে।
কোন কোন নথি প্রমাণপত্র হিসাবে গ্রহণ করা হবে?
ECI দ্বারা নির্ধারিত গ্রহণযোগ্য নথিগুলির মধ্যে রয়েছে:
- জন্ম সার্টিফিকেট
- পাসপোর্ট
- প্যান কার্ড
- স্বীকৃত বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন বা শিক্ষাগত সার্টিফিকেট
- স্থায়ী বাসিন্দা সার্টিফিকেট
- ওবিসি, এসসি, এসটি বা অন্য কোনো জাতিগত শংসাপত্র
- জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC)
- ভূমি বা বাড়ির দলিলের মতো সরকারি নথি
যাচাইকরণ প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে?
বুথ লেভেল অফিসাররা (BLO) বাড়ি বাড়ি গিয়ে ফর্ম বিতরণ এবং নথি সংগ্রহ করবেন। এরপর, ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসাররা (ERO) এই আবেদনগুলি যাচাই করবেন এবং প্রয়োজনে ফিল্ড ইনকোয়ারি পরিচালনা করবেন। পুরো প্রক্রিয়াটিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য, রাজনৈতিক দল এবং বুথ লেভেল এজেন্টদের (BLA) আপত্তি জানানো বা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকবে।
এই স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) প্রক্রিয়াটি ২০০৩ সালের পর প্রথমবার আয়োজিত হচ্ছে এবং এর লক্ষ্য হল দেশের ভোটার তালিকাকে আরও নির্ভুল এবং সুরক্ষিত করা। বিহারে পাইলট প্রজেক্টের জন্য যোগ্যতার তারিখ ১ জুলাই, ২০২৫ হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পশ্চিমবঙ্গে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে।
এই নতুন নিয়মাবলী সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং প্রয়োজনীয় নথি প্রস্তুত রাখা প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের জন্য অত্যন্ত জরুরি। আপনার এলাকার BLO-র সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং সময়মতো আপনার ভোটার কার্ড যাচাইকরণ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন।