WB Govt Employees: ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট ‘উধাও’? RTI তথ্যে চাঞ্চল্য, হাইকোর্টে মামলা!

WB Govt Employees: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ সংক্রান্ত বিতর্ক এক নতুন মোড় নিয়েছে। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার আইন (RTI) মারফত পাওয়া একটি জবাবে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সচিবালয় জানিয়েছে যে, ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট বিধানসভায় পেশ বা পাশ করানো হয়নি। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য সরকারি কর্মচারী মহলে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, রাজ্য সরকার ইতিপূর্বেই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে যে তারা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ রূপায়ণ করেছে।
ডিএ (মহার্ঘ ভাতা) মামলার আবেদনকারী তথা ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক শ্রী দেবপ্রসাদ হালদারের দায়ের করা একটি আরটিআই আবেদনের জবাবে বিধানসভার যুগ্ম সচিব শ্রী এস. দাস জানিয়েছেন, “ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট পেশ করার আগে এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বিধানসভায় জমা দেওয়া হয়নি বা এটি হাউস দ্বারা পাসও করা হয়নি।”
এই তথ্যের নিরিখে প্রশ্ন উঠছে, যদি বিধানসভাতেই রিপোর্ট পেশ না হয়ে থাকে, তাহলে অর্থ দফতর কোন রিপোর্টের ভিত্তিতে সুপারিশ কার্যকর করলো? এবং সেই “জনপরিসরে না থাকা” ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশের কপিটি কোথায়? উল্লেখ্য, তথ্যের অধিকার আইন, ২০০৫-এর ৮(ঞ) ধারা অনুযায়ী, যে তথ্য সংসদ বা বিধানসভাকে দিতে অস্বীকার করা যায় না, সেই তথ্য কোনও নাগরিককে দিতে অস্বীকার করা যাবে না। অন্যদিকে, লোকসভার সদস্যরা নিয়মিত অষ্টম বেতন কমিশন সম্পর্কে প্রশ্ন করেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার তার উত্তরও দেয়, যা স্বচ্ছতার একটি উদাহরণ।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই। সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার স্পেশ্যাল লিভ পিটিশনের ৮৩ নম্বর পৃষ্ঠায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার যেখানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ রূপায়ণের কথা উল্লেখ করেছে, সেখানে বিধানসভার এই তথ্যে অসামঞ্জস্য প্রকট হচ্ছে।
এই “জনপরিসরে না থাকা” রিপোর্টের হদিশ পেতে এবং সরকারের স্বচ্ছতার প্রশ্নে আগামী সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ডিএ মামলাকারী ইউনিটি ফোরামের আহ্বায়ক দেবপ্রসাদ হালদারের দায়ের করা WPA26668/2024 মামলাটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল। এই মামলার শুনানি রাজ্যের বেতন কমিশন সংক্রান্ত বিতর্কে নতুন দিশা দেখাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। জনগণের অর্থে রূপায়িত একটি বিষয় কেন “জনপরিসরে নেই”, সেই প্রশ্নের উত্তর মেলার অপেক্ষায় রাজ্যবাসী, বিশেষ করে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীগণ।