WB Job News: এই ‘চাকরির আকালের’ দিনে চাকরি পেয়েও জয়েন করলেননা প্রায় ৫০০ প্রার্থী, কিন্তু কেন?

WB Job News: দীর্ঘ ১২ বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে শুরু হয়েছিল আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। কিন্তু চাকরি পেয়েও তা প্রত্যাখ্যান করলেন প্রায় ৫০০ প্রার্থী। মূলত পছন্দের জায়গায় পোস্টিং না পাওয়ায় এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগপত্র গ্রহণ করেও শেষ পর্যন্ত চাকরিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) সূত্রে খবর। এই ঘটনায় স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এবং নতুন করে এই শূন্যপদগুলি কীভাবে পূরণ করা হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।
ঘটনার প্রেক্ষাপট ও মূল কারণ
জানা গিয়েছে, যে প্রার্থীরা চাকরি প্রত্যাখ্যান করেছেন, তাঁদের বেশিরভাগই নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী স্কুল পাননি। অনেকের ক্ষেত্রেই বাড়ির কাছাকাছি বা সুবিধাজনক স্থানে পোস্টিং মেলেনি। প্রত্যন্ত এলাকার স্কুলে নিয়োগপত্র পাওয়ায় অনেকেই অসন্তুষ্ট। কাউন্সেলিং পর্বে উপস্থিত থেকে নিয়োগপত্র গ্রহণ করার পরেও এই প্রার্থীরা তাঁদের চাকরিতে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা লিখিতভাবে এসএসসি-কে জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে আইনি জটিলতা এবং নানাবিধ কারণে আটকে ছিল এই আপার প্রাইমারি স্তরের শিক্ষক নিয়োগ। বহু প্রতীক্ষার পর নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছিলেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার পরেও কর্মস্থলের দূরত্ব এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক কারণে প্রায় ৫০০ প্রার্থীর এই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করল।
পরবর্তী পদক্ষেপ ও সম্ভাব্য প্রভাব
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি যে, এই সৃষ্ট হওয়া শূন্যপদগুলি পূরণের জন্য কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুনরায় কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে অপেক্ষমান তালিকা থেকে প্রার্থীদের ডাকা হবে, নাকি অন্য কোনও পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে, তা এখনও ধোঁয়াশায়।
এই বিপুল সংখ্যক প্রার্থীর চাকরি প্রত্যাখ্যানের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষক-ঘাটতি পূরণের প্রক্রিয়া আরও কিছুটা বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হল। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়তে পারে পঠনপাঠনের উপর, বিশেষত সেই স্কুলগুলিতে যেখানে শিক্ষকের অভাব প্রকট। শিক্ষা মহল মনে করছে, পোস্টিং সংক্রান্ত বিষয়ে আরও সংবেদনশীল এবং বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, যাতে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি পেয়েও তা ছেড়ে দিতে বাধ্য না হন।
এই পরিস্থিতি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যেমন হতাশা বাড়িয়েছে, তেমনই শিক্ষা ব্যবস্থার সামগ্রিক পরিচালন ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। আগামী দিনে এসএসসি এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে সংশ্লিষ্ট মহল।