WBBPE TET Exam: নতুন টেট কবে? পর্ষদের ই-টেন্ডার ঘিরে বাড়ছে জল্পনা, জানুন বিস্তারিত

WBBPE TET Exam: রাজ্যজুড়ে আবার টেট পরীক্ষার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের একটি নতুন পদক্ষেপে এই জল্পনা তীব্র হয়েছে। সম্প্রতি, পর্ষদ তাদের ওয়েবসাইটে একটি ই-টেন্ডার প্রকাশ করেছে, যা মূলত আসন্ন পরীক্ষার নিরাপত্তা সংক্রান্ত। এই বিজ্ঞপ্তির পরেই রাজ্যের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে আশার আলো সঞ্চার হয়েছে।
মূল ঘটনা
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে চাইছে। এর মধ্যে রয়েছে পরীক্ষার্থীদের বায়োমেট্রিক যাচাইকরণ, মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ফ্রিস্কিং এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা। এই কাজগুলি একটি বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে করানো হবে, যার জন্যই এই ই-টেন্ডার ডাকা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, খুব শীঘ্রই রাজ্যে শিক্ষক যোগ্যতার পরীক্ষা বা টেট (TET) আয়োজিত হতে পারে।
কোন কোন পরীক্ষার সম্ভাবনা?
পর্ষদের এই পদক্ষেপে দুটি প্রধান পরীক্ষার সম্ভাবনা উঠে আসছে:
- স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের জন্য টেট: পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন যে, রাজ্যে প্রায় তিন হাজার স্পেশাল এডুকেটরের শূন্যপদ রয়েছে। এই পদ পূরণের জন্য একটি নতুন টেট পরীক্ষা নেওয়া হবে। আদালত ইতিমধ্যেই এই নিয়োগের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছে, কিন্তু ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত জটিলতায় প্রক্রিয়াটি আটকে আছে। সরকারি সবুজ সংকেত পেলেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে, এবং তার আগেই পর্ষদ সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে।
- ডিএলএড (D.El.Ed) পরীক্ষা: আগামী অগস্ট মাসে ডিএলএড-এর চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই পরীক্ষার নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যও এই টেন্ডার ডাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চাকরিপ্রার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
- প্রস্তুতি শুরু করুন: যারা স্পেশাল এডুকেটর পদের জন্য আবেদন করতে ইচ্ছুক, তাদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ। এখন থেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
- পুরনো পরীক্ষার অবস্থা: তবে, শিক্ষামহলের একাংশ কিছু প্রশ্নও তুলেছে। তাদের মতে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত টেট পরীক্ষার ফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। এমনকি ২০২২ সালের টেট-এর ফল বেরোলেও, শূন্যপদের তালিকা প্রকাশ বা নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়নি। পর্ষদ অবশ্য এর জন্য ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত জটিলতাকেই দায়ী করেছে।
- সতর্ক থাকুন: চাকরিপ্রার্থীদের উচিত পর্ষদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিয়মিত নজর রাখা, যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা বা বিজ্ঞপ্তি এড়িয়ে না যায়।
সব মিলিয়ে, পর্ষদের এই নতুন টেন্ডার রাজ্যের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর জন্য একটি আশার বার্তা বয়ে এনেছে। এখন শুধু সরকারি চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষা।