WBSSC: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যে ১৯৪১ জন শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি, দেখুন বিস্তারিত

WBSSC: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (West Bengal School Service Commission) বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক (Special Education Teacher) পদে নিয়োগের জন্য শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (Teacher Eligibility Test – TET) ২০২৫-এর ঘোষণা করেছে। মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে। রাজ্যের সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত এবং স্পনসরড হাই ও হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলগুলিতে মোট ১৯৪১টি শূন্যপদে এই নিয়োগ করা হবে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব।
নিয়োগ প্রক্রিয়া ও শূন্যপদ
পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন “বিশেষ শিক্ষা শিক্ষক পদে নিয়োগ বিধি ২০২৪” (Recruitment of Person for Appointment to the Post of Special Education Teachers Rule 2024) অনুসারে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করবে। উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য এই শিক্ষকদের নিয়োগ করা হবে। মোট শূন্যপদের সংখ্যা ১৯৪১টি, যা রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি বড় সুযোগ।
কারা আবেদন করতে পারবেন?
এই পদে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং অন্যান্য শর্তাবলী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ৩১শে আগস্ট, ২০২৫-এ স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হবে। আবেদনকারীদের সেই বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে, যাদের কাছে ইতিমধ্যেই একটি বৈধ TET সার্টিফিকেট আছে, তাদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ রয়েছে। তারা চাইলে তাদের বিদ্যমান সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারেন অথবা নতুন করে TET পরীক্ষায় বসতে পারেন।
আবেদন প্রক্রিয়া ও তারিখ
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে অনলাইনে পরিচালিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ তারিখগুলি নিচে উল্লেখ করা হলো:
- অনলাইন আবেদন শুরু: ১লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বিকাল ৫টা)
- অনলাইন আবেদন শেষ: ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বিকাল ৫টা)
- আবেদন ফি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ: ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (রাত ১১:৫৯)
আগ্রহী প্রার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
বিশেষ নোট
যেহেতু এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হচ্ছে, তাই এর স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। আবেদনকারীদের উচিত নিয়মিত স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট নজরে রাখা, যাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাদের নজর এড়িয়ে না যায়। যোগ্য প্রার্থীদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ, তাই সময়মতো প্রস্তুতি শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।