WBSSC Recruitment: “চিহ্নিত” প্রার্থীদের বাদ দিয়েই হবে শিক্ষক নিয়োগ, হাইকোর্টের কড়া নির্দেশ
WBSSC Recruitment: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের এক যুগান্তকারী রায়ে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি) তাদের শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বদল আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশ অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা চিহ্নিত “টেন্টেড” বা অযোগ্য প্রার্থীরা আর নতুন করে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। এই রায়টি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মূল ঘটনা
গত ৩০শে মে প্রকাশিত হওয়া শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তির পর থেকেই একাধিক অভিযোগ জমা পড়তে থাকে যে, বহু “টেন্টেড” প্রার্থী আবেদন করেছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কলকাতা হাইকোর্ট এই কড়া নির্দেশ দেয়। বিচারপতি ভট্টাচার্য স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় অনুযায়ী “টেন্টেড” প্রার্থীদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসএসসি ও পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ উভয়েই এই প্রার্থীদের সম্পর্কে অবগত।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
- অযোগ্যদের বর্জন: আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনওভাবেই দুর্নীতিগ্রস্ত প্রার্থীদের জায়গা দেওয়া হবে না।
- অভিজ্ঞতার নম্বরে আপত্তি: বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন যে, যারা জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন, তারা কীভাবে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অভিজ্ঞতার জন্য বরাদ্দ ১০ শতাংশ নম্বরের সুবিধা পেতে পারেন।
- নিয়োগের সময়সীমা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, এই বছরের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছে হাইকোর্ট।
এসএসসি-র প্রতিক্রিয়া
এসএসসি-র আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে, এই নির্দেশ কার্যকর করা কঠিন হবে এবং এর বিরুদ্ধে তারা উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তবে, হাইকোর্ট তাদের এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে।
চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিক্রিয়া
চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের মতে, এই রায়ের ফলে আসল যোগ্য প্রার্থীরা কিছুটা হলেও সুবিচার পাবেন। তবে, অন্য একটি অংশ আবার হতাশ। তাদের মতে, এই রায়ে যোগ্যতার মানদণ্ড বা শূন্যপদের সংখ্যা কমানোর মতো বিষয়গুলি নিয়ে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনসব মিলিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একটি নতুন দিশা দেখিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, এসএসসি কীভাবে এই নির্দেশ কার্যকর করে এবং আগামী দিনে নিয়োগ প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ ও দুর্নীতিমুক্ত হয়।