ডিএ

West Bengal DA Case: ডিএ মামলায় বিরাট মোড়! ৪ঠা আগস্ট কর্মীদের পক্ষে সওয়াল করবেন প্রখ্যাত আইনজীবী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম

West Bengal DA Case: রাজ্য সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং পেনশনভোগীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার (DA) দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের লড়াই এক নতুন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছে। বিগত তিন বছর ধরে রাজপথ এবং আদালত, উভয় ক্ষেত্রেই এই মঞ্চ নিরলসভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। তাদের এই ধারাবাহিক সংগ্রামের ফলে রাজ্য সরকার কিছুটা বকেয়া ডিএ দিতে বাধ্য হয়েছে এবং থমকে থাকা মহার্ঘ ভাতার জট কিছুটা হলেও খুলেছে। বর্তমানে এই মামলাটি ভারতের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়, সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন এবং আগামী ৪ঠা আগস্ট, ২০২৫, এই মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে, যা রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য এক নির্ণায়ক দিন হতে চলেছে।

এই গুরুত্বপুর্ন শুনানিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে কর্মীদের হয়ে সওয়াল করবেন দেশের অন্যতম প্রখ্যাত আইনজীবী এবং ভারতের প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল, শ্রী গোপাল সুব্রহ্মণ্যম। তাঁর উপস্থিতি এই মামলায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে এবং কর্মীদের মনোবল বহুলাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে।

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নিরলস লড়াই

সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান তাঁরা রাজ্যের বঞ্চিত সরকারি কর্মীদের অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যখন সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলাটি গতিহীন হয়ে পড়েছিল, তখন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চই মামলাকারী সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে নতুন করে শক্তি জোগায়। ভাস্কর বাবুর কথায়, “আমাদের প্রয়াসের ফলেই সুপ্রিম কোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন রায় দিয়েছে।”

তবে তিনি এও স্বীকার করেন যে, পথে নেমে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারার দুর্বলতার কারণে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশকেও পুরোপুরি মান্যতা দেয়নি। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আগামী ৪ঠা আগস্টের শুনানি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

মামলার বর্তমান প্রেক্ষাপট

  • সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ: গত ১৬ই মে, ২০২৫, সুপ্রিম কোর্ট একটি অন্তর্বর্তীকালীন রায়ে রাজ্য সরকারকে ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
  • রাজ্য সরকারের অবস্থান: রাজ্য সরকার আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে সেই নির্দেশ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পালন করতে পারেনি। পরিবর্তে, তারা এই অর্থ মেটানোর জন্য ছয় মাস সময় চেয়ে এবং টাকাটি সরাসরি কোর্টে জমা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করে।
  • আদালত অবমাননার মামলা: রাজ্য সরকারের এই গড়িমসির বিরুদ্ধে কর্মচারী সংগঠনগুলি আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেছে।

এই জটিল পরিস্থিতিতে, সমস্ত পক্ষের চোখ এখন ৪ঠা আগস্টের শুনানির দিকে। শ্রী গোপাল সুব্রহ্মণ্যমের মতো একজন বলিষ্ঠ আইনজীবীর উপস্থিতি কর্মীদের জয়ের আশা আরও উজ্জ্বল করেছে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মচারী ও পেনশনভোগী বিশ্বাস করেন যে, তাঁদের দীর্ঘদিনের এই লড়াই অবশেষে সফল হবে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। শিক্ষক ও কর্মচারী ঐক্যের জয় অবশ্যম্ভাবী।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button