West Bengal Election: ভোটের প্রস্তুতি তুঙ্গে! ২০২৬-এর পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বড় ঘোষণা

West Bengal Election: পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২৬-এর দামামা বেজে গেল। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, নির্বাচনের জন্য কর্মীদের ডাটাবেস আপডেট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই ঘোষণার সাথে সাথেই শুরু হয়ে গেছে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি। আসুন, আমরা এই বিজ্ঞপ্তির মূল বিষয়গুলি এবং নির্বাচনের প্রস্তুতির বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে সবিস্তারে জেনে নিই।
প্রস্তুতির মূল পর্বগুলি
নির্বাচন কমিশনের এই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আগামী কয়েক মাস ধরে ধাপে ধাপে নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ চলবে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ এবং তাদের বিভিন্ন দায়িত্ব বন্টন। এই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সুসংগঠিতভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী তৈরি করা হয়েছে।
- কর্মীদের ডাটাবেস আপডেট: ১৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ থেকে ভোটকর্মীদের ডাটাবেস আপডেট করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সমস্ত সরকারি কর্মীদের তথ্য একত্রিত করে এই ডাটাবেস তৈরি করা হয়, যা পরবর্তীকালে ভোটকর্মী নিয়োগের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
- প্রশিক্ষণের স্থান নির্বাচন: ১৫ই জানুয়ারী, ২০২৬-এর মধ্যে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য স্থান, হলের ধারণক্ষমতা এবং প্রশিক্ষণের সময়সূচী চূড়ান্ত করা হবে।
- ভোটকর্মীদের প্রথম র্যান্ডমাইজেশন: ৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৬-এ প্রথম পর্যায়ের র্যান্ডমাইজেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে ভোটকর্মীদের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক তালিকা তৈরি করা হবে।
- প্রথম দফার সাধারণ প্রশিক্ষণ: ৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৬ থেকে প্রথম দফার সাধারণ প্রশিক্ষণ শুরু হবে। এই প্রশিক্ষণে সমস্ত ভোটকর্মীদের, বিশেষ করে প্রিসাইডিং অফিসার এবং প্রথম পোলিং অফিসারদের ইভিএম (EVM) মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
- পরবর্তী পর্যায়ের প্রশিক্ষণ: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন সাধারণত একাধিক দফায় অনুষ্ঠিত হয়। তাই, নির্বাচনের বিভিন্ন দফার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পরবর্তী প্রশিক্ষণ পর্বগুলি আয়োজন করা হবে।
এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো, ভোটকর্মীদের নির্বাচনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে অবগত করা, যাতে তারা সুষ্ঠুভাবে এবং নির্ভুলভাবে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন। মাইক্রো-অবজার্ভার এবং পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণও এই সময়সূচী অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশনের এই তৎপরতা থেকে স্পষ্ট যে, তারা ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে বদ্ধপরিকর। আগামী দিনে এই প্রস্তুতির আরও বিভিন্ন পর্যায় সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা যায়।