পশ্চিমবঙ্গ

Mid Day Meal: মিড-ডে মিল বিতর্কে পশ্চিমবঙ্গ! প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ পড়ুয়া কেন খাচ্ছে না? কড়া চিঠি কেন্দ্রের

Mid Day Meal: সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মিড-ডে মিল প্রকল্প নিয়ে উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এসেছে। জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজ্যের প্রায় ৫০ শতাংশ স্কুল পড়ুয়া মিড-ডে মিল খায়নি। এই পরিসংখ্যান সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।

ঘটনার মূল বিষয়:

  • অত্যধিক পতন: ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মিড-ডে মিল গ্রহণকারী পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ কমে গেছে।
  • কেন্দ্রের উদ্বেগ: পড়ুয়াদের এই বিপুল অনুপস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
  • রিপোর্ট তলব: পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ৩০শে জুনের মধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর পেছনের কারণ কী?

যদিও সঠিক কারণ এখনও স্পষ্ট নয়, তবে এই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়ার মিড-ডে মিল না খাওয়ার পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খাবারের মান, বিতরণের অনিয়ম, নাকি অন্য কোনো পরিকাঠামোগত সমস্যা এর জন্য দায়ী, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

সাধারণ মানুষের জন্য:

এই ঘটনাটি রাজ্যের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে। মিড-ডে মিল প্রকল্পটি শুধুমাত্র পড়ুয়াদের পুষ্টির জোগান দেয় না, বিদ্যালয়ে তাদের উপস্থিতি বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই, এই প্রকল্পে যেকোনো রকম ঘাটতি পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এবং সার্বিক শিক্ষাব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের স্কুলে মিড-ডে মিল সংক্রান্ত খোঁজখবর নেওয়া এবং কোনো রকম অনিয়ম চোখে পড়লে তা কর্তৃপক্ষকে জানানো।

ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ

কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে এবং বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এই রিপোর্টের ভিত্তিতেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে উন্নত করতে এবং শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button