শিক্ষকদের নরমাল সেকশন নিয়ে বিভ্রান্তির অবসান, জেনে নিন বিস্তারিত | West Bengal Teachers

West Bengal Teachers: পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষকদের নরমাল সেকশন নিয়ে দীর্ঘদিনের বিভ্রান্তির অবসান ঘটেছে। গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ২০২২-এর এই বিজ্ঞপ্তিটি নিশ্চিত করেছে যে ২০১৬ সালের আগে জয়েন করা নরমাল সেকশনের শিক্ষকরা নরমাল সেকশনেই থাকবেন। কোনোভাবেই তাদের অন্য সেকশনে পরিবর্তন করা যাবে না, যা রাজ্যের হাজার হাজার শিক্ষকের জন্য একটি বড় স্বস্তির খবর।
বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষাপট এবং গুরুত্ব
২০১৯ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তিতে স্টাফ প্যাটার্ন অনুযায়ী ২০১৬-এর আগে নিযুক্ত নরমাল সেকশনের শিক্ষকদের আপার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি সেকশনে বিভক্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই বিভাজনের ফলে অনেক শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং অসন্তোষ দেখা দেয়, যা শেষ পর্যন্ত আদালতের দ্বারস্থ হয়। এর ফলেই শিক্ষা দপ্তরকে ২০২২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর এই স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে কী বলা হয়েছে?
- নরমাল সেকশনের শিক্ষকরা নরমাল সেকশনেই থাকবেন: বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, “Teachers already appointed in Normal Section of recognized aided/sponsored schools will remain so and they shall be treated as teachers in the Normal Section.” অর্থাৎ, নরমাল সেকশনে নিযুক্ত শিক্ষকরা সেই সেকশনেই থাকবেন।
- আপার প্রাইমারি সেকশনে কারা থাকবেন: আপার প্রাইমারি রিক্রুটমেন্ট রুল ২০১৬ অনুযায়ী যাদের নিয়োগ হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই আপার প্রাইমারি সেকশনের শিক্ষক হিসেবে গণ্য হবেন।
- OSMS পোর্টালে পরিবর্তনের নির্দেশ: ডিরেক্টরেট অফ স্কুল এডুকেশনকে OSMS পোর্টালে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত পরিবর্তন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে শিক্ষকদের সঠিক সেকশন প্রতিফলিত হয়।
বর্তমান পরিস্থিতি এবং শিক্ষকদের করণীয়
এই বিজ্ঞপ্তি থাকা সত্ত্বেও OSMS পোর্টালে এখনও পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষকদের নরমাল, আপার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি – এই তিনটি সেকশনই দেখানো হচ্ছে, যা বিভ্রান্তিকর। এই পরিস্থিতিতে, সমস্ত শিক্ষক সংগঠনকে একত্রিত হয়ে শিক্ষা দপ্তরের কাছে এই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী OSMS পোর্টালে দ্রুত কারেকশন করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। শিক্ষকদের উচিত তাদের নিজ নিজ সংগঠনের মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হওয়া।
এই বিজ্ঞপ্তিটি নরমাল সেকশনের শিক্ষকদের জন্য একটি বড় জয়। এখন প্রয়োজন শুধু প্রশাসনিক স্তরে এর দ্রুত এবং সঠিক বাস্তবায়ন, যাতে শিক্ষকরা কোনো রকম হয়রানি ছাড়াই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন।