32000 Teacher Case: আজ ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলার শুনানিতে আদালতে যা ঘটল

32000 Teacher Case: কলকাতা হাইকোর্টে ৩২,০০০ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ মামলার শুনানি অব্যাহত রয়েছে। আজ মাননীয় বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হল। মামলার দশম দিনে, আবেদনকারীদের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তুলে ধরেন, যা এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে ভাবনার উদ্রেক করেছে।
অ্যাপটিটিউড টেস্ট নিয়ে গরমিল
শুনানির শুরুতেই আইনজীবী মজুমদার অ্যাপটিটিউড টেস্টের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি জানান যে অনেক প্রার্থীকে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় বাদ দেওয়া হয়েছে এবং তারা ইন্টারভিউ পর্যন্ত পৌঁছতেই পারেননি। হুগলি, হাওড়া, উত্তর দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারের মতো বিভিন্ন জেলা থেকে অ্যাপটিটিউড টেস্ট এবং ইন্টারভিউ সংক্রান্ত তথ্য একটি সিল করা খামে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। হাওড়ার একটি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেলিম আলি নামে এক প্রার্থীকে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ত্রুটির কারণে ইন্টারভিউতে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।
“রেস জুডিকাটা” এবং প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের প্রশ্ন
আদালতে “রেস জুডিকাটা” বা একই বিষয়ে পূর্ববর্তী মামলার রায় নিয়েও আলোচনা হয়। আইনজীবী জানান যে বর্তমান মামলার ২১ জন প্রার্থী এর আগেও একই ধরনের পিটিশন দায়ের করেছিলেন, যা খারিজ হয়ে যায়। সংরক্ষণ নীতি লঙ্ঘন এবং প্যানেল প্রকাশনার বিষয়গুলি সেখানে উত্থাপিত হয়েছিল। তবে, প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের বিষয়ে আইনজীবী জানান যে, কোনও প্রশিক্ষিত প্রার্থী আদালতের দ্বারস্থ হননি। তাই, আদালত এই বিষয়ে আর হস্তক্ষেপ করবে না।
প্যানেল প্রকাশনার স্বচ্ছতা
প্যানেল প্রকাশনার বিষয়েও প্রশ্ন ওঠে। আইনজীবী মজুমদার জানান যে ২০১৬ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিল (DPSC) অফিসে প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছিল। DPSC চেয়ারম্যানদের দায়িত্ব ছিল নিজ নিজ অফিসে প্যানেল প্রকাশ করার। তবে, আদালত এই প্রক্রিয়াটিকে একটি “ভুয়ো প্রক্রিয়া” বলে অভিহিত করে এবং এর স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।
আদালতের পর্যবেক্ষণ এবং পরবর্তী পদক্ষেপ
শুনানির সময় বিচারপতিকে বেশ কয়েকবার চিন্তাশীল দেখায় এবং তিনি প্রশিক্ষিত প্রার্থী ও প্যানেল প্রকাশনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আইনজীবী মজুমদার আদালতের সমস্ত প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেন। “রেস জুডিকাটা”-র বিষয়টি, যা আগে একক বিচারপতির পর্যবেক্ষণে আসেনি, শিক্ষকদের পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসাবে উঠে আসে। এই মামলার শুনানি আগামীকালও চলবে এবং আশা করা হচ্ছে যে এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার জট খুলতে আদালত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।