Indian Railways: সুখবর! রেলযাত্রায় বয়স্কদের জন্য আবার ফিরছে ছাড়? কী বলছে সংসদীয় কমিটি?

Indian Railways: ভারতীয় রেলে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ছাড় পুনরায় চালু করার জন্য একটি বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সংসদের একটি স্থায়ী কমিটি রেল মন্ত্রককে এই ছাড় পুনর্বহাল করার সুপারিশ করেছে, যা কোভিড-১৯ মহামারীর সময় থেকে বন্ধ ছিল। এই খবরে দেশের লক্ষ লক্ষ প্রবীণ নাগরিকের মধ্যে আশার আলো দেখা দিয়েছে। আসুন, এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
কমিটির সুপারিশ কী?
রেলওয়ের স্থায়ী কমিটি তাদের রিপোর্টে জানিয়েছে যে, প্রবীণ নাগরিকদের রেলযাত্রায় যে ছাড় দেওয়া হত, তা পুনরায় চালু করা উচিত। বিশেষ করে স্লিপার ক্লাস এবং এসি ৩-টিয়ারের মতো শ্রেণিতে এই ছাড় ফিরিয়ে আনার জন্য জোর দেওয়া হয়েছে। কমিটির মতে, মহামারীর প্রকোপ এখন অনেকটাই কমে এসেছে এবং রেলের পরিষেবাও স্বাভাবিক হয়েছে। তাই, দেশের প্রবীণ নাগরিকদের সম্মান জানিয়ে এই সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
রেল মন্ত্রকের অবস্থান
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে, তিনি কমিটির এই সুপারিশ সম্পর্কে অবগত। তবে, এই মুহূর্তে ছাড় পুনরায় চালু করার বিষয়ে রেল মন্ত্রক কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। যদিও কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমা বা আশ্বাস দেওয়া হয়নি, তবে কমিটির এই সুপারিশ নিঃসন্দেহে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
কেন এই ছাড় গুরুত্বপূর্ণ?
- আর্থিক সহায়তা: বহু প্রবীণ নাগরিক পেনশনের উপর নির্ভরশীল। রেলযাত্রায় ছাড় পেলে তাদের যাতায়াতের খরচ অনেকটাই কমে যায়, যা তাদের জন্য একটি বড় আর্থিক সহায়তা।
- সামাজিক সংযোগ: এই ছাড়ের ফলে প্রবীণ নাগরিকরা সহজেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা তাদের আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এটি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত জরুরি।
- তীর্থযাত্রা ও ভ্রমণ: বহু বয়স্ক মানুষ তীর্থযাত্রা বা দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণের জন্য রেলের উপর নির্ভর করেন। ছাড় পুনরায় চালু হলে তাদের এই ইচ্ছে পূরণ করা সহজ হবে।
রেলের বর্তমান পরিস্থিতি
রেল মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে রেল যাত্রী ভাড়ায় প্রায় ৬০,৪৬৬ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। অর্থাৎ, প্রত্যেক যাত্রীর টিকিটের উপর গড়ে ৪৫% ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর পর অনেক ছাড় বন্ধ করে দেওয়া হলেও, বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তি, রোগী এবং ছাত্রদের জন্য ছাড় এখনও চালু রয়েছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার কবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাটি পুনরায় চালু করে।
এই সুপারিশ যদি বাস্তবায়িত হয়, তবে তা দেশের বয়স্ক নাগরিকদের জন্য একটি বড় উপহার হবে এবং তাদের জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করে তুলবে।