শিক্ষা

TET Mandatory: আগামীকালই সুপ্রিম কোর্টে উঠছে মামলা! TET মামলায় বড়সড় রদবদলের সম্ভাবনা, স্বস্তি পাবেন হাজার হাজার শিক্ষক?

TET Mandatory: আগামীকাল, ১৩ই অক্টোবর ২০২৫, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষকদের জন্য টেট (Teacher Eligibility Test) বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি হতে চলেছে। এই মামলার রায়ের ওপর নির্ভর করছে হাজার হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ। এর আগে ত্রিপুরা হাইকোর্টের একটি রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠেছে, এবং এর ফলে পয়লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর টেট বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত রায়ে বড়সড় পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

মামলার প্রেক্ষাপট

এই মামলার সূত্রপাত ত্রিপুরা সরকারের একটি নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে। ২০২১ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর, সমগ্র শিক্ষা মিশন, ত্রিপুরা, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানায় যে, যে সমস্ত শিক্ষক এখনও টেট পাস করেননি, তাদের প্রত্যেককে টেট পাস করতে হবে। এই নির্দেশিকার ফলে ২০০৪ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে নিযুক্ত বহু শিক্ষকের চাকরি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে, কারণ তাদের নিয়োগের সময় টেট বাধ্যতামূলক ছিল না।

এর পরেই ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষকরা ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন শুনানির পর, ২০২৪ সালের ১৬ই জুলাই, ত্রিপুরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ একটি ঐতিহাসিক রায় দেয়।

ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়

ত্রিপুরা হাইকোর্ট তার রায়ে জানায় যে, যে সমস্ত শিক্ষক ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে নিযুক্ত হয়েছেন, তাদের জন্য টেট বাধ্যতামূলক নয়। আদালত তার পর্যবেক্ষণে জানায় যে, ২০০১ সালের এনসিটিই (National Council for Teacher Education) রেগুলেশনে টেট-এর কোনো উল্লেখ ছিল না। ২০১০ সালের পর থেকে আরটিই (Right to Education) আইন কার্যকর হওয়ার পর টেট বাধ্যতামূলক করা হয়।

সবার আগে খবরের আপডেট পান!

টেলিগ্রামে যুক্ত হন

হাইকোর্ট আরও জানায় যে, যে সমস্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই নতুন নিয়ম কার্যকর করা যুক্তিসঙ্গত নয়। আদালত রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয়, এই সমস্ত শিক্ষকদের চাকরি সুনিশ্চিত করতে এবং তাদের সমস্ত বকেয়া সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে।

সুপ্রিম কোর্টের শুনানি

ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে একটি স্পেশাল লিভ পিটিশন (SLP) দায়ের করে। আগামীকাল, বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মাসিহ-এর বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। এর আগে এই বেঞ্চই পয়লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এ টেট বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত রায় দিয়েছিল। তাই আগামীকালের শুনানি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে।

যদি সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে, তাহলে দেশজুড়ে হাজার হাজার শিক্ষক, যারা টেট পাস না করেও দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন, তারা স্বস্তি পাবেন। অন্যদিকে, যদি সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দেয়, তাহলে এই সমস্ত শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

শিক্ষকদের ভবিষ্যৎ কী?

এই মুহূর্তে সমস্ত শিক্ষক সংগঠন এবং শিক্ষামহল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তাদের আশা, সুপ্রিম কোর্ট মানবিকতার খাতিরে এবং দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করা শিক্ষকদের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে। এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষকদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিশা দেখাতে পারে, কারণ এখানেও অনুরূপ পরিস্থিতিতে বহু শিক্ষক রয়েছেন।

WBPAY Team

আমাদের প্রতিবেদন গুলি WBPAY Team এর দ্বারা যাচাই করে লেখা হয়। আমরা একটি স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম যা পাঠকদের জন্য স্পষ্ট এবং সঠিক খবর পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য এবং সাংবাদিকতার মান সম্পর্কে জানতে, অনুগ্রহ করে আমাদের About us এবং Editorial Policy পৃষ্ঠাগুলি পড়ুন।
Back to top button