New Family Pension Rules: সরকারি কর্মীদের জন্য বড় খবর! ফ্যামিলি ডিটেলস থেকে মেয়ের নাম বাদ দেওয়া যাবেনা, নতুন নির্দেশিকা জারি
Family Pension Rules: কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সমস্ত সরকারি কর্মী এবং পেনশনারদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। ৩১শে অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের এই অর্ডারটিতে ফ্যামিলি ডিটেলস বা পরিবারের বিবরণে কন্যা সন্তানের নাম অন্তর্ভুক্ত রাখা সংক্রান্ত একটি বড় বিভ্রান্তি দূর করা হয়েছে। এই নতুন নিয়মটি শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য নয়, রাজ্য সরকারি কর্মী ও শিক্ষকদের জন্যও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ পেনশনের নিয়মাবলী সাধারণত একই ধরনের হয়ে থাকে।
সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় এবং অবসরের আগে পেনশন পেপার তৈরি করার সময়, প্রত্যেক কর্মীকে তাদের পরিবারের সদস্যদের সম্পূর্ণ বিবরণ একটি নির্দিষ্ট ফর্মে (ফর্ম ৪) জমা দিতে হয়। এই বিবরণ আপ-টু-ডেট রাখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু পরিবারের সদস্য হিসেবে কাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে, তা নিয়ে প্রায়শই বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
ফ্যামিলি ডিটেলস: কারা অন্তর্ভুক্ত হবেন?
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, একজন কর্মচারীর পরিবারের বিবরণে নিম্নলিখিত সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে:
- স্বামী বা স্ত্রী (Spouse): কর্মচারীর জীবনসঙ্গী।
- সমস্ত সন্তান (All Children): কর্মচারীর সমস্ত পুত্র এবং কন্যা সন্তান।
- বাবা-মা (Parents): কর্মচারীর পিতা এবং মাতা।
- প্রতিবন্ধী ভাইবোন (Disabled Siblings): কর্মচারীর প্রতিবন্ধী ভাই বা বোন, তারা ফ্যামিলি পেনশনের জন্য যোগ্য হোন বা না হোন।
এই বিবরণ চাকরিতে যোগদানের সময় এবং অবসরের আগে পুনরায় জমা দিতে হয়।
সবার আগে খবরের আপডেট পান!
টেলিগ্রামে যুক্ত হনকন্যা সন্তানের নাম নিয়ে নতুন নির্দেশিকা
এতদিন পর্যন্ত একটি সাধারণ ধারণা ছিল যে, কন্যা সন্তানের বিয়ে হয়ে গেলে তার নাম পরিবারের বিবরণ থেকে বাদ দিতে হবে, কারণ তিনি আর ফ্যামিলি পেনশন পাওয়ার যোগ্য নন। এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল।
কেন্দ্রীয় সরকারের মিনিস্ট্রি অফ পার্সোনাল, পাবলিক গ্রিভেন্স অ্যান্ড পেনশন দ্বারা জারি করা নতুন নির্দেশিকায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কন্যা সন্তানের নাম কখনই পরিবারের বিবরণ থেকে বাদ দেওয়া যাবে না।
আদেশ অনুযায়ী, একজন কন্যা সন্তানকে আজীবন তার সরকারি কর্মচারী বাবা বা মায়ের পরিবারের সদস্য হিসেবেই গণ্য করা হবে। তার নাম সার্ভিস বুক বা অন্যান্য সরকারি নথিতে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এর মূল কারণ হলো, কোনো পেনশনার বা ফ্যামিলি পেনশনারের মৃত্যুর পরেই তার পরিবারের কোনো সদস্য ফ্যামিলি পেনশন পাওয়ার যোগ্য কিনা, তা তৎকালীন নিয়ম অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাৎ, যোগ্যতা নির্ধারণের বিষয়টি ভবিষ্যতের উপর নির্ভরশীল। তাই আগে থেকেই মেয়ের নাম বাদ দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
এই নির্দেশিকাটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য জারি করা হলেও, যেহেতু পেনশন সংক্রান্ত নিয়মাবলী রাজ্য ও কেন্দ্রের ক্ষেত্রে প্রায় একই, তাই এটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং এমনকি নিউ পেনশন স্কিম (NPS) এর আওতায় থাকা কর্মীদের জন্যও প্রাসঙ্গিক।