Lakshmir Bhandar: জুলাই থেকে সত্যিই কি লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা বাড়ছে? বিভ্রান্ত না হয়ে জানুন সত্যিটা

Lakshmir Bhandar: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া এবং কিছু সংবাদ মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি নিয়ে নানা আলোচনা শোনা যাচ্ছে। অনেকেই জানতে চাইছেন, সত্যিই কি রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের টাকা আরও একবার বাড়াতে চলেছে? এই প্রতিবেদনে আমরা বর্তমান পরিস্থিতি এবং সাম্প্রতিক তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি স্পষ্ট করার চেষ্টা করব।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার: বর্তমান পরিস্থিতি ও সরকারিভাবে ঘোষিত ভাতা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় জনকল্যাণমূলক প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের প্রতি মাসে সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
২০২৪ সালের ঘোষণা অনুযায়ী, এই প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধি করা হয়েছিল। বর্তমানে যে হারে উপভোক্তারা টাকা পাচ্ছেন, তা হলো:
- সাধারণ শ্রেণীর (General Category) মহিলাদের জন্য: প্রতি মাসে ১০০০ টাকা।
- তফসিলি জাতি ও উপজাতি (SC/ST Category) মহিলাদের জন্য: প্রতি মাসে ১২০০ টাকা।
এই হারেই বর্তমানে উপভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছেন এবং সাম্প্রতিক রাজ্য বাজেট (২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য) পেশের সময় এই ভাতার পরিমাণ আরও বৃদ্ধির কোনও সরকারি ঘোষণা করা হয়নি। অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, এই বাজেটে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা নতুন করে বাড়ানো হচ্ছে না।
ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সাম্প্রতিক খবর ও তার বাস্তবতা
কিছু সূত্রে জুলাই ২০২৫ থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বেড়ে সাধারণ ক্ষেত্রে ১৫০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি/উপজাতির ক্ষেত্রে ১৮০০ টাকা হওয়ার যে খবর প্রচারিত হয়েছে, তার কোনও সরকারি সমর্থন বা ঘোষণা এখনও পর্যন্ত মেলেনি। অতএব, এই ধরনের খবরের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে। উপভোক্তাদের অনুরোধ করা হচ্ছে, শুধুমাত্র সরকারি ঘোষণা এবং নির্ভরযোগ্য সূত্রের মাধ্যমেই এই সংক্রান্ত খবরের উপর আস্থা রাখতে।
২০২৬ পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ও সম্ভাব্য ভাতা বৃদ্ধি
সামনেই ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে, অনেক সময়ই ভোটের আগে রাজ্য সরকার বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক প্রকল্পে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি বা নতুন প্রকল্প ঘোষণা করে থাকে। সেই প্রেক্ষাপটে, ভবিষ্যতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে এটি সম্পূর্ণতই সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল এবং এই বিষয়ে কোনও নিশ্চিত খবর এখনও নেই। এটি একটি জল্পনা মাত্র। যতক্ষণ না পর্যন্ত রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও সুস্পষ্ট ঘোষণা আসছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই ধরনের সম্ভাবনাকে নিশ্চিত বলে ধরে নেওয়া উচিত নয়।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পটি নিঃসন্দেহে রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সুরক্ষায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত যে কোনও খবরের জন্য রাজ্য সরকারের সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা নির্ভরযোগ্য গণমাধ্যমের উপর নির্ভর করাই শ্রেয়। আপাতত, পূর্বনির্ধারিত হারেই (সাধারণ ১০০০ টাকা ও তফসিলি জাতি/উপজাতি ১২০০ টাকা) এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতের যে কোনও পরিবর্তনের জন্য সরকারি ঘোষণার অপেক্ষা করতে হবে।