LPG Subsidy: বড় খবর! রান্নার গ্যাসে ৩০০ টাকা ভর্তুকি চালু থাকছে, কারা পাবেন এই সুবিধা?

LPG Subsidy: কেন্দ্র সরকার প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার (PMUY) সুবিধাভোগীদের জন্য এক বড় স্বস্তির ঘোষণা করেছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় থাকা পরিবারগুলিকে রান্নার গ্যাসের (LPG) সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অব্যাহত রাখা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি দেশের কোটি কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারকে রান্নার গ্যাসের ক্রমবর্ধমান মূল্য থেকে সুরক্ষা দেবে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১০.৩৩ কোটি উজ্জ্বলা যোজনার গ্রাহক এই সুবিধা পেতে থাকবেন। এই ভর্তুকি সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হবে, যা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং দুর্নীতির সম্ভাবনা কমাবে।
প্রকল্পের মূল বৈশিষ্ট্য এবং নতুন সিদ্ধান্ত
প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা ২০১৬ সালের মে মাসে চালু হয়েছিল। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল কাঠ এবং অন্যান্য প্রচলিত জ্বালানির ধোঁয়া থেকে মহিলাদের মুক্তি দেওয়া এবং স্বচ্ছ রান্নার জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহিত করা। এই প্রকল্পের আওতায়, সরকার দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলিকে বিনামূল্যে LPG সংযোগ প্রদান করে।
সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিচে তুলে ধরা হলো:
- ভর্তুকির পরিমাণ: প্রতিটি ১৪.২ কেজির LPG সিলিন্ডারে ৩০০ টাকা ভর্তুকি পাওয়া যাবে।
- ভর্তুকির সময়সীমা: এই সুবিধা ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষ পর্যন্ত চলবে।
- বার্ষিক কোটা: বছরে ৯টি সিলিন্ডার রিফিলের জন্য এই ভর্তুকি প্রযোজ্য হবে। পূর্বে এই সংখ্যাটি বছরে ১২টি ছিল।
- মোট ব্যয়: এই ভর্তুকি প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকারের আনুমানিক ব্যয় হবে প্রায় ১২,০০০ কোটি টাকা।
উজ্জ্বলা যোজনার প্রভাব
এই প্রকল্পটি কেবল পরিবেশ সুরক্ষায় সাহায্য করেনি, বরং মহিলাদের স্বাস্থ্য এবং ক্ষমতায়নেও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কাঠ বা কয়লার মতো জ্বালানির ব্যবহারে যে ধোঁয়া উৎপন্ন হয়, তা শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি এবং অন্যান্য গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। LPG-র ব্যবহার এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে।
ভর্তুকির সিদ্ধান্তটি সাধারণ মানুষের উপর আর্থিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে যখন বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম ক্রমাগত বাড়ছে। এটি নিশ্চিত করবে যে নিম্ন-আয়ের পরিবারগুলি ধোঁয়াহীন জ্বালানি ব্যবহার চালিয়ে যেতে পারে এবং তাদের পুরনো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসে ফিরে যেতে বাধ্য না হয়। সরকারের এই ধারাবাহিক প্রচেষ্টা দেশের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর মানুষের জীবনকে আরও সহজ ও সুরক্ষিত করতে সহায়ক হবে।