Recruitment News

Primary Recruitment Case: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে নতুন মোড়! সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেও কেন হচ্ছে না নিয়োগ?

Primary Recruitment Case: ডি.এল.এড ২০২০-২০২২ চাকরিপ্রার্থীদের জন্য একটি অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের একটি সাম্প্রতিক পদক্ষেপে, তাদের চাকরির ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চয়তার মুখে। একটা সময় যেখানে তাদের নিয়োগ প্রায় নিশ্চিত বলে মনে হচ্ছিল, সেখানে এখন নতুন করে আইনি জটিলতা তৈরি হয়েছে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা পুরো বিষয়টি বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব এবং চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আগামী দিনে কী অপেক্ষা করছে, তা বোঝার চেষ্টা করব।

মামলার বর্তমান পরিস্থিতি

পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি, ডি.এল.এড ২০২০-২০২২ ব্যাচের চাকরিপ্রার্থীরা আশার আলো দেখেছিলেন যখন সুপ্রিম কোর্ট তাদের নিয়োগের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কিছু পদক্ষেপে সেই আশার আলো এখন ম্লান হতে চলেছে।

সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী নির্দেশ

চলতি বছরের ৪ঠা এপ্রিল, সুপ্রিম কোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় দেয়। সেই রায়ে, ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ডি.এল.এড ২০২০-২০২২ ব্যাচের প্রার্থীদের নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ১১,৭৬৫ টি শূন্যপদের মধ্যে প্রায় ২১০০ টি পদে তাদের নিয়োগ করার কথা ছিল। এই রায়টি চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা তৈরি করে এবং তারা তাদের নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিষ্ক্রিয়তা

সুপ্রিম কোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (WBBPE) সেই নির্দেশ কার্যকর করেনি। নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এই নিষ্ক্রিয়তার ফলে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা তৈরি হয়।

নতুন আইনি লড়াই

পর্ষদের এই নিষ্ক্রিয়তার ফলে মামলাটি আবার সুপ্রিম কোর্টের দরজায় পৌঁছেছে। এবার দুটি নতুন আবেদন জমা পড়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।

  • পর্ষদের নতুন আবেদন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সুপ্রিম কোর্টে একটি নতুন বিবিধ আবেদন (Miscellaneous Application) দাখিল করেছে। এই আবেদনে তারা নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক বিষয়ে আদালতের কাছে स्पष्टीकरण চেয়েছে। পর্ষদের যুক্তি হলো, ডি.এল.এড ২০২০-২০২২ প্রার্থীদের পাশাপাশি এন.আই.ও.এস ডি.এল.এড এবং অন্যান্য “Unabsorbed” প্রার্থীদেরও নিয়োগের নির্দেশ রয়েছে। তাই, কাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে, সেই বিষয়ে তারা আদালতের নির্দেশ চায়।
  • পর্ষদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা: অন্যদিকে, পর্ষদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার একটি আবেদনও দায়ের করা হয়েছে। আবেদনকারীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পালন না করে পর্ষদ আদালত অবমাননা করেছে। এই মামলায় পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকেও পক্ষভুক্ত করা হয়েছে।

চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ কী?

বর্তমানে, ডি.এল.এড ২০২০-২০২২ চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ সম্পূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির উপর নির্ভরশীল। পর্ষদের এই সময়ক্ষেপণের কৌশল এবং নতুন আইনি জটিলতা তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও দীর্ঘায়িত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে, যেহেতু তাদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের পূর্ববর্তী রায় রয়েছে, তাই তারা এখনও আশাবাদী। আগামী দিনে সুপ্রিম কোর্ট কী নির্দেশ দেয়, তার উপরেই তাদের ভাগ্য নির্ভর করছে।

WBPAY

The site wbpay.in is a collaborative platform voluntarily monitored by a dedicated group of reporters of West Bengal. The site features insightful posts and articles authored by experts in various fields, ensuring high-quality content that informs and engages the community. With a focus on transparency and public service, wbpay.in aims to provide valuable resources and updated news relevant to the citizens and employees of West Bengal. For any query please mail us at [email protected]

Related Articles

Back to top button