Provident Fund Interest: সুখবর! পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মীদের পিএফ অ্যাকাউন্টে সুদ জমা শুরু, বিস্তারিত জানুন

Provident Fund Interest: অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার নন-গভর্নমেন্ট প্রভিডেন্ট ফান্ড (NGIPF) মডিউলের আওতাভুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে। রাজ্যের পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স অধিকরণ (DPPG), অর্থ বিভাগের পক্ষ থেকে ১৮ই জুলাই, ২০২৫ তারিখে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিএফ) অ্যাকাউন্টে বার্ষিক সুদ জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপে উপকৃত হবেন লক্ষ লক্ষ কর্মচারী। আসুন, এই সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
কাদের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই সুদ জমা হয়েছে?
বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, যে সমস্ত পিএফ অপারেটররা ডিপিজিজি, পশ্চিমবঙ্গ দ্বারা অনলাইন ব্যালেন্স ক্যাপচারের জন্য অনুমতি পেয়েছেন, তাদের কর্মীদের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যেই সুদ জমা করে দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল (এজি), পশ্চিমবঙ্গের মাধ্যমে বুক অ্যাডজাস্টমেন্টের দ্বারা সম্পন্ন হয়েছে।
সুদ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলির তালিকা ও জমার পরিমাণ নিম্নরূপ:
- সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ: ৪৩৪টি কলেজের জন্য মোট ১১৭,৪৬,৩৪,৬০৩ টাকা সুদ জমা করা হয়েছে।
- পৌরসভা (Municipalities): ৪০টি পৌরসভার জন্য মোট ৬,৬৪,৪১,৮৭৯ টাকা সুদ জমা করা হয়েছে।
- এগ্রিকালচারাল ট্রেনিং সেন্টার: ১টি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭,৯১,৫৮৫ টাকা জমা পড়েছে।
শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ঘোষণা
মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের (Secondary Education) অন্তর্গত ডিআই/এডিআই অফ স্কুলগুলির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেট রয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই প্রতিষ্ঠানগুলির কর্মীদের পিএফ অ্যাকাউন্টে ২০২৩-২৪ এবং ২০২৪-২৫, এই দুটি অর্থবর্ষের সুদ একসাথে জমা করা হবে। এই প্রক্রিয়াটি ৩০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫-এর মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তাই শিক্ষকরা খুব শীঘ্রই তাদের অ্যাকাউন্টে দুই বছরের সুদ একসাথে পেতে চলেছেন।
অফলাইন ব্যবস্থার ক্ষেত্রে কী হবে?
যে সমস্ত পিএফ অপারেটররা এখনও পর্যন্ত ডিপিজিজি, পশ্চিমবঙ্গ দ্বারা অনলাইন ব্যালেন্স ক্যাপচারের অনুমতি পাননি, তাদের ক্ষেত্রে পুরনো অফলাইন পদ্ধতিই বহাল থাকছে। অর্থাৎ, এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে আগের মতোই সুদের জন্য আবেদন করতে হবে।
আপনার কী করণীয়?
সরকারের এই পদক্ষেপের পর কর্মচারী এবং প্রতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষের কিছু দায়িত্ব রয়েছে:
- অ্যাকাউন্ট যাচাই: সকল কর্মচারীকে তাদের পিএফ অ্যাকাউন্ট বা স্টেটমেন্ট চেক করে দেখার অনুরোধ করা হচ্ছে যে সুদের টাকা সঠিকভাবে জমা হয়েছে কিনা।
- প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব: সমস্ত সংশ্লিষ্ট পিএফডি অ্যাডমিন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষকে তাদের সিস্টেমের সাথে জমার পরিমাণ যাচাই করে নিতে বলা হয়েছে।
- অসঙ্গতি রিপোর্ট: যদি সুদের পরিমাণে কোনও গরমিল বা অসঙ্গতি চোখে পড়ে, তবে দেরি না করে অবিলম্বে ডিপিজিজি, পশ্চিমবঙ্গ-কে জানানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায়।
এই বিজ্ঞপ্তিটি সমস্ত সংশ্লিষ্ট পক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের এই স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য এবং এটি কর্মীদের আর্থিক সুরক্ষাকে আরও মজবুত করবে।