WB Arrear DA: আদালতের নির্দেশ অমান্য? ডিএ না মেটানোয় এবার কি বিপাকে পড়বে রাজ্য?

WB Arrear DA: রাজ্য সরকারি কর্মচারী এবং শিক্ষকদের মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) নিয়ে দীর্ঘদিনের লড়াই এক নতুন মোড় নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হয়ে গেলেও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর না মেলায় কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ এবং হতাশা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি আদালত অবমাননার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যা রাজ্য প্রশাসন এবং কর্মীদের মধ্যে সংঘাত আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ডিএ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে বকেয়া ডিএ-র অন্তত ২৫ শতাংশ ছয় সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশের পর রাজ্য সরকারি কর্মীরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন যে, তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি অবশেষে পূরণ হতে চলেছে। কিন্তু সময়সীমা পার হয়ে গেলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নীরব থাকায় সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে।
রাজ্য সরকারের অবস্থান
রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্রের মতে, ডিএ দেওয়ার সময়সীমা শুক্রবার, ২৭শে জুন পর্যন্ত আছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো পর্যন্ত করা হয়নি। এমনকি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাম্প্রতিক সাংবাদিক সম্মেলনেও ডিএ প্রসঙ্গ এড়িয়ে যাওয়া হয়, যা কর্মীদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই নীরবতা রাজ্য সরকারের অসহযোগিতামূলক মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে বলে মনে করছেন কর্মীরা।
কর্মচারী সংগঠনগুলির পদক্ষেপ
রাজ্য সরকারের এই নীরবতার প্রতিবাদে কর্মচারী সংগঠনগুলি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তারা মুখ্যসচিব এবং অর্থসচিবকে আইনি নোটিশ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পেলে তারা সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করবেন।
- কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ, সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, ইউনিটি ফোরাম এবং কর্মচারী পরিষদ-এর মতো সংগঠনগুলি এই আইনি লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে।
- তাঁদের মতে, রাজ্য সরকার আদালতকে অবমাননা করেছে এবং কর্মীদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।
ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ
এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার এই আইনি নোটিশের জবাবে কী পদক্ষেপ নেয়। যদি সরকার এখনও নীরব থাকে, তাহলে ডিএ নিয়ে এই সংঘাত আরও তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। কর্মীরা তাঁদের দাবি আদায়ে কতটা সফল হন, তা সময়ই বলবে। তবে এই ঘটনা যে রাজ্য রাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।